পাসপোর্ট জালিয়াতি: ৭১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ পাসপোর্টকে সরকারি পাসপোর্ট বানিয়ে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ ও অপকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের বরখাস্তকৃত দুই পরিচালকসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

এর আগে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. বেনজির আহমেদ বাদী হয়ে পাসপোর্ট অফিসের তিন কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।

প্রণব বলেন, ‘তদন্তকালে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারনামীয় ও তদন্তে আগত সর্বমোট ৭১ জন আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ড-বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেন।’ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ শিগগিরি চার্জশিট আদালতে দাখিল করবে বলে জানান তিনি। 

দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ৬৫জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার নাম ও পদবি ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে জাল অনাপত্তিপত্র (এনওসি) বানায়। সেগুলো বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও, ঢাকা থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর হতে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ভুয়া ও জাল অনাপত্তিপত্র  (এন ও সি‘র) ব্যবহার করে ৬৫টি সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়াল পাসপোর্ট রুপান্তর করে। উক্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে কিছু সংখ্যক পাসপোর্টধারী অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে গমন/বসবাস করছেন।

মিথ্যা তথ্য ও জাল অনাপত্তি সনদ এর ভিত্তিতে বেশকিছু সাধারণ নাগরিকের সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়াল পাসপোর্টে রূপান্তর করে এবং তা ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গমন করেন। এ রকম ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহারকারী ৪ জন বাংলাদেশি তুরস্ক পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হলে তাদের জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটিত হয়। পরে তুরস্ক সরকার তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সঙবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ১৮ জন পাসপোর্টধারী ও পাসপোর্ট অফিসের ৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে দুদকের উপপরিচালক মো. বেনজির আহমেদ মামালাটি দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এএকে/ইএস)