লিটন ১২১, বাংলাদেশ ২২২

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৪৬ | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০৯

লিটন-মিরাজের ব্যাটে ওপেনিং জুটিতে ১২০ রানের পার্টনারশিপ। কিন্তু পরের সব ব্যাটসম্যানদের ছন্দহীন ব্যাটিং। তাই শিরোপার লড়াইয়ের ম্যাচে পুঁজিটাও বেশি বড় হলো না টাইগারদের। ৪৮.৩ ওভারে ২২২ রানে অলআউট হয়ে গেল টাইগাররা। তাই বোলারদের উপরও দায়িত্বটা বাড়ল। শিরোপা জিততে এখন এই স্কোর নিয়ে লড়াই করতে হবে মাশরাফিদের।

এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে ১২০ রানের পার্টনারশিপ হওয়ার পরও পুরো ৫০ ওভার খেলে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেছেন লিটন দাস। এই রান করতে ১১৭টি বল মোকাবেলা করেছেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে তিনি ১২টি চার মেরেছেন ও দুইটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ৩২ রান। সৌম্য সরকার করেছেন ৩৩ রান। বাকি সব ব্যাটসম্যানের রান দুই অঙ্কের নিচে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কুলদীপ যাদব ৩টি, কেদার যাদব ২টি, যুজবেন্দ্র চাহাল ১টি ও জ্যাসপ্রীত বুমরাহ ১টি করে উইকেট ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করে। ওপেনিং জুটিতে ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। ইনিংসের ২১তম ওভারে কেদার যাদবের বলে আম্বাতি রায়ডুর হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৩২ রান। ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। আর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এই প্রথম ওপেনিং জুটিতে শতরান করল।

মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু তিনি সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে দুই রান করে তিনি ফিরে যান সাজঘরে। দলীয় ১২৮ রানে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিয়েও শেষরক্ষা হয়নি ইমরুল কায়েসের। তাকে সাজঘরে ফিরে যেতেই হয়েছে।

এরপর দলীয় ১৩৭ রানে কেদার যাদবের বলে জ্যাসপ্রীত বুমরাহর হাতে ক্যাচ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। নয় বল খেলে পাঁচ রান করেছেন তিনি। দলের রান যখন ১৩৯ তখন রান আউট হন মোহাম্মদ মিথুন। চার বল খেলে দুই রান করেন তিনি।

দলীয় ১৫১ রানে কুলদীপ যাদবের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে জ্যাসপ্রীত বুমরাহর হাতে ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১৮৮ রানে আম্পায়ারের ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। ইনিংসের ৪১তম ওভারে কুলদীপ যাদবের বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি।

ওভারের শেষ বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ব্যাটে বলে হয়নি। উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি বলটি গ্রিপে নিয়েই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। ফিল্ড আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। তারা তৃতীয় আম্পারের স্মরণাপন্ন হন। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু টেলিভিশনে দেখে মনে হয়েছে ধোনি স্ট্যাম্প ভাঙার আগেই লাইনে লিটনের পা স্পর্শ করেছে। আর লিটনের পা মাটিতেই ছিল। অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার রড টাকারের এই সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

লিটন দাস ফিরে যাওয়ার পরপরই ফিরে যান টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলীয় ১৯৬ রানে কুলদীপ যাদবের বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। দলের রান যখন ২১৩ তখন রান আউট হন নাজমুল ইসলাম অপু। দলীয় ২২২ রানে রান আউট হন সৌম্য সরকার। ৪৯তম ওভারে জ্যাসপ্রীত বুমরাহর বলে বোল্ড হন রুবেল হোসেন।

এবারের এশিয়া কাপে শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি হতাশ করেছে। কিন্তু আজ লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ ওপেনিংয়ে দারুণ খেলেছেন। দুজন মিলে ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন। এশিয়া কাপে এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারে ও দলীয় এক রানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙে। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলীয় ১৫ রানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল। সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল দলীয় ১৫ রানে।

তারপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় পাঁচ রানে ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল বাংলাদেশের।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলছেন না। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষেও তিনি খেলেননি। একাদশে নাজমুল ইসলাম অপুর সংযোজন নিশ্চয়ই দলের বোলিং লাইন আপ শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশ এবার তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলছে। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের আসরে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলেছিল। কিন্তু দুইবারই রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ইনিংস: ২২২ (৪৮.৩ ওভার)

(লিটন দাস ১২১, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২, ইমরুল কায়েস ২, মুশফিকুর রহিম ৫, মোহাম্মদ মিথুন ২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪, সৌম্য সরকার, মাশরাফি বিন মুর্তজা ৭, নাজমুল ইসলাম অপু ৭, মোস্তাফিজুর রহমান ২, রুবেল হোসেন ০*; ভুবনেশ্বর কুমার ০/৩৩, জ্যাসপ্রীত বুমরাহ ১/৩৯, যুজবেন্দ্র চাহাল ১/৩১, কুলদীপ যাদব ৩/৪৫, রবীন্দ্র জাদেজা ০/৩১, কেদার যাদব ২/৪১)।

(ঢাকাটাইমস/২৮ সেপ্টেম্বর/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :