আকর্ষণীয় অফার নিয়ে ঢাকায় পর্যটন মেলা

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একই ছাদের নিচে ভ্রমণের সব তথ্য দিতে রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী পর্যটন মেলা।

শুক্রবার  ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় ৭ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের সহযোগিতায় পর্যটন বিচিত্রা এ মেলার আয়োজন করেছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সৈকতকে পর্যটকবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য আবাসনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকায় ফিলিপিন্স রাষ্ট্রদূত ভিভিনসিও টি বান্ডিলো ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি. সওইমারনো।

এবার মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরের পর্যটন সংস্থা ১২০টি স্টলে অংশ নিচ্ছে। আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশ-বিদেশে বেড়ানোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার, হোটেল, রিসোর্টে প্যাকেজ বুকিংসহ বিশেষ ছাড়ের অফার দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মেলায় হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল শপ, থিমপার্ক, পরিবহনসহ পর্যটনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের আহ্বায়ক ও পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, মেলায় বৈচিত্র্যময় আয়োজন রয়েছে-বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে পর্যটন বিষয়ক সেমিনার, শিশুদের জন্য “নদীমাতৃক বাংলাদেশ” শীর্ষক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। টেকসই পর্যটন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি থাকবে বিজনেস টু বিজনেস মিটিং। মেলার প্রথম ও দ্বিতীয় দিন বিকালে রয়েছে বাংলাদেশ, ফিলিপাইন্স ও ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন বিষয়ক প্রেজেন্টেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই মেলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হবে।

মেলায় প্রবেশের ফ্রি টিকেটের ব্যবস্থা রয়েছে www.dhakadinnercruise.com/atf-entryticket লিংকের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলেই মেলার ক্রুজ পার্টনার, ঢাকা ডিনার ক্রুজের সৌজন্যে ই-মেইলে পাওয়া যাবে মেলায় প্রবেশের ফ্রি টিকেট। মেলার প্রবেশ কুপনের বিপরীতে বিজয়ীদের জন্য থাকবে র‌্যাফেল ড্র-এ আকর্ষণীয় গিফ্ট ভাউচার। আর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন না করলে মেলায় প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা দিতে হবে।

বক্তারা পর্যটন শিল্পকে বিকাশের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের পর‌্যটন কেন্দ্রগুলো বিশ্বের কাছে কিভাবে পরিচিত করতে অ্যাপস উন্নত ও একটি তথ্যবহুল ওয়েবসাইট করার তাগিদ দেন, যেখানে দেশের হোটেল–মোটেল থেকে শুরু করে পর‌্যটনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকবে।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন। এসয় আখতারুজ্জামান খান কবির ইলেক্ট্রনিক ভিসা পদ্ধতি চালু করার জন্য উদ্যেগ নিতে প্রধান অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মেলায় ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য ছাড়াও শ্রীমঙ্গল ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের স্টলে সিলেটের চা কিনতে পাওয়া যাবে। অন্য স্টলে রয়েছে নকশি কাঁথা সহ হাতের কাজের নকশী বেডশীট, থ্রি পিস।

মেলায় রয়েছে ঢাকা ডিনার ক্রুজের আকর্ষণীয় টিকিট ফ্রি অফার।

ঢাকা ডিনার ক্রুজের প্রজেক্ট ডিরেক্টর বোরহান উদ্দিন বলেন,  এ মেলায় ‘ঢাকা ডিনার ক্রুজের’একটি টিকেট বুকিং দিলেই একটি ফ্রি পাচ্ছেন। শীতলক্ষ্যা নদীর শিমুলিয়া বাজার ঘাট থেকে (কাঞ্চল ব্রিজ সংলগ্ন) ক্রজটি ছেড়ে যাবে।শীতলক্ষ্যা নদীর কোল ঘেঁষা জামদানি পল্লী ও মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ির ঘাটে ক্রুজটি থামবে। যা ভ্রমণকারীদের এক ভিন্ন আনন্দ দেবে ও আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানার সুযোগ করে দেবে বলে জানালেন বোরহান উদ্দিন।

‘ঢাকা ডিনার ক্রুজ’ সম্পর্কে তিনি বলেন,  ক্রুজের ভেতরে রয়েছে কেবিন, ডাইনিং স্পেস, মিটিংরুম, বসার জন্য পর্যাপ্ত আসন। ক্রুজের ছাদে উঠে প্রকৃতিকে উপভোগ করার সুযোগ। ভ্রমণকারীদের রাতে বারবিকিউ ডিনার করানো হবে। বিকাল সাড়ে চারটায় ছেবে যাবো রাত সাড়ে আটার দিকে আমরা ভ্রমণ শেষে আবার শিমুলিয়া বাজার ফিরে আসবো। ডিনার ক্রুজে প্রতিজন ভ্রমণে খরচ পড়বে খাবার খরচসহ আড়াই হাজার টাকা। তবে মেলায় ৫০০ টাকা দিয়ে বুকিং দিয়ে রাখলেও এক টিকেটে দুইজন ভ্রমণ করতে পারবে।

বোরহান উদ্দিন বলেন, মেলায় বুকিং দিয়ে রাখলে পরবর্তী তিনমাসের মধ্যে তার সুবিধা অনুযায়ী ভ্রমণ করা যাবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার শীতলক্ষ্যা নদীর শিমুলিয়া বাজার ঘাট থেকে আমাদের ক্রজ ছেরে যায়।

মেলা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/জেআর/ইএস)