কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩২ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালী ও টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’  মাদক বিক্রেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এসময় বেশকিছু মাদক ও অস্ত্র উদ্বার করা হয়েছে।    

রবিবার ভোরে জেলার মহেশখালীর ছোট মহেশখালী শাপলাঢেবা ও টেকনাফের হ্নীলা দরগাহ গেট এলাকায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে তারা মারা যান।

মহেশাখালীর ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রবিবার ভোর ৫টার দিকে মহেশখালী উপজেলার শাপলা ঢেবা এলাকায় এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অবস্থান টের পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়।

একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী করিমের লাশ পাওয়া যায়। তার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

নিহত করিম শাপলাঢেবা এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

অপরদিকে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া জানান, তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা বিক্রেতা ‘পুতিয়া মিস্ত্রি’ ইয়াবার বড় একটি চালান হস্তান্তর করছেন এমন খবরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতারা গুলি চালালে পুলিশও গুলি ছোড়ে।

গোলাগুলির একপর্যায়ে ইয়াবা বিক্রেতারা পিছু হটে। পরে ঘটাস্থলে পড়ে থাকা লাশটি শীর্ষ ইয়াবা বিক্রেতা পুতিয়া মিস্ত্রির বলে স্থানীয়রা শনাক্ত করে।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, তাজা কার্তুজ ও ৭ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়।

রবিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে হ্নীলা দরগাহ গেট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার এসআই নাজিম, এএসআই মুরাদ, দেলোয়ার ও কনস্টেবল ইমন আহত হন।

তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

নিহত ইমরান ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রি টেকনাফের হ্নীলার পশ্চিম সিকদারপাড়ার আজিজুল হক মিস্ত্রির ছেলে।

(ঢাকাটাইমস৩০সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর)