উন্নয়নের বিলবোর্ডে ছেঁয়ে গেছে মির্জাপুর

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
 | প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০৮

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নের সচিত্র বিলবোর্ডগুলো জনমনে সাড়া ফেলেছে। দলীয় নেতাকর্মীসহ সকলেই এর প্রশংসা করছেন। গত ১০ বছরের উন্নয়নের সচিত্র এই বিলবোর্ডগুলো উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজ অর্থায়নে দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন।

সচিত্র এই বিলবোর্ডে নির্বাচনী এলাকার একটি পৌরসভাসহ ১৪টি ইউনিয়নের কোথায় কী উন্নয়ন হয়েছে, তা তোলে ধরা হয়েছে। ইউনিয়নে সরকারের গত ১০ বছরে কয়টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং কয়টি কলেজে নতুন ভবন হয়েছে, কত কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক, কয়টি নতুন ব্রিজ-কালভার্ড নির্মিত হয়েছে এবং কতগুলো বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ দেয়া হয়েছে তার পরিসংখ্যানও দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোন এলাকার কোন কাজ চলমান রয়েছে বা টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে- তাও উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিলবোর্ডগুলো এই নির্বাচনী এলাকার হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটের মোড় এবং জনবহুল স্থানে শোভা পাচ্ছে। উন্নয়নের এই বিলবোর্ডগুলো দেখে নির্বাচনী এলাকার জনগণও তার এলাকায় কি উন্নয়ন হয়েছে, তা সহজেই বুঝতে পারছেন।

মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক নূরুল ইসলাম, আজগানা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক ফজলুর রহমান, তরফপুর গ্রামের আবুল কাশেম, একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আছান আলী, বাঁশতৈল ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী, গোড়াই ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী, উয়ার্শী ইউনিয়নের মজদই গ্রামের আম্বার আলী, আনাইতারা ইউনিয়নের খাগুটিয়া গ্রামের আমির হোসেন, বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের আবুল হোসেন, ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমান, জামুর্কী ইউনিয়নের জামুর্কী চরপাকুল্যা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ডিএম বাবলু প্রমুখরা জানান, উন্নয়নের এই বিলবোর্ডগুলোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চিত এই নির্বাচনী এলাকার জনগণ গত ১০ বছরের কোন এলাকায় কী উন্নয়ন তা সহজেই বুঝতে সক্ষম হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে এই নির্বাচনী এলাকার কোথায় কি উন্নয়ন হয়েছে তা যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই অনুধাবন করতে পারেন সেজন্যই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নামে সচিত্র এই বিলবোর্ডগুলো দেয়া হয়েছে বলে এমপি একাব্বর হোসেন জানান।

এ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর (অব.) খন্দকার আব্দুল হাফিজ জানান, এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী খান আহম্মেদ শুভ ও এর প্রশাংসা করে বলেন, বিলবোর্ডগুলো আরও আগেই দেয়া উচিত ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :