শিক্ষার উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয়: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৪

সার্টিফিকেট-সর্বস্ব শিক্ষায় বেকারত্ব বাড়বে। দক্ষতা না থাকলে বড় সার্টিফিকেট অর্থহীন। এজন্য সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করছে। সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এমন মূল্যবোধ ও গুণগতমানের মানুষ তৈরি করতে পারেন শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার সরকারি বাঙলা কলেজের নতুন ভবন ও হোস্টেলের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন এবং নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে এমন বিশ্বমানের নাগরিক আমাদের তৈরি করতে হবে। এজন্য শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মকে উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ব্যবহার ও অবকাঠামোগত উন্নতির কথা উল্লেখ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বমানের শিক্ষা বাস্তবায়ন ও গুণগত মান উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে এসেছি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার লক্ষে। বিগত ১০ বছরে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। আইসিটি শিক্ষার কার্যক্রম সহজতর করা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে দেশের শিক্ষাব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, এটা শেখ হাসিনার জন্যই হয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়ন করেছি ঠিক আছে, কিন্তু দয়া করে আপনারা সেটার অপব্যবহার করবেন না।

শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিগত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব এবং সবার সহযোগিতায়। সীমিত সময়ে দেশে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ একটি অনুকরণীয় দেশ। যেসব উন্নয়নশীল দেশ শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, তারা আজ বাংলাদেশ থেকে জানতে চায় কীভাবে তারা এগিয়ে যাবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেয়া হচ্ছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের বেধে দেয়া এমডিজি অর্জন হয়েছে নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের সমতা অর্জিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার ৭৭১টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। নাহিদ বলেন, আমরা কারিগরি শিক্ষার ১ শতাংশ থেকে এখন ১৪% করেছি, ২১ সালের মধ্যে ২০% করা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো মাদ্রাসায় কোনো ভবন নির্মাণ করাতো দূরের কথা একটি ইট পর্যন্ত লাগানো হয়নি। আমরা কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতিও দিয়েছি।

শিক্ষামন্ত্রী সরকারি বাঙলা কলেজের নির্মিতব্য ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট একাডেমিক কাম-এক্সামিনেশন হল ভবন, ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবন ও নতুন ছাত্রাবাসের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন এবং নব-নির্মিত শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহামুদ-উল-হক ও মাহমুদুল ইসলাম, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা, সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইমাম হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা এবং বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/এসআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :