তাড়াশে হাটু পানিতে ভিজে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত

রানা আহমেদ,সিরাজগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৫৬

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের সেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তাটি বছরের সবসময় পানিতে ডুবে থাকে। পানি শুকালে কাঁদার ভাগাড়ে পরিণত হয়। বাধ্য হয়ে হাটু পানি আবার কখনো কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বিদ্যালয়ের ৩৫১ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেরাজপুর-ওয়াশিন আঞ্চলিক পাকা সড়কটির গাঁ ঘেষে সেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তাটির দুইপাশের স্থায়ী বাসিন্দাদের একজন বাড়ির উঠানে মাটি ফেলে উঁচু করেছেন। আরেকজন জমি উঁচু করে ইউক্যালিপটাস গাছের বাগান করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছেন।

সরু রাস্তার এপাশ-ওপাশে মাটি ফেলায় ওই রাস্তাটিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার রুপ নিয়েছে। বিকল্প না থাকায় এ পথেই যাতায়াত করতে হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের।

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন, খাইরুল ইসলাম, অন্তরা পারভিন, মালিহা খাতুন, সাব্বির আহমেদ, মীম, মিথিলা সরকার বলেন, আমাদের কারো হাটু পানি হলেও অনেকের কোমর পানি পার হয়ে পানিতে ভিজে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় বই-খাতা ভিজে যায়। সারাবছরই নোংরা পানি আর কাঁদা লেগে থাকে। আমরা রাস্তা চাই।

সেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন, যাতায়াতের ওই ডোবা রাস্তাটুকু ব্যক্তি মালিকানাধীন। তবুও তারা বিদ্যালয়ের স্বার্থে ফাঁকা রেখেছেন। প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে রাস্তাটির মাপ নেওয়া হয়েছে। বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খবর নেই।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. বাবুল আক্তার বলেন, একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কিছু জানা যায়নি।

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শিগগিরই রাস্তাটিতে মাটি ফেলে উঁচু করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :