জাল সনদে পদোন্নতি, খাদ্য অধিদপ্তরে বরখাস্ত ২৮

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫৯ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাল সনদ ব্যবহার করে অফিস সহায়ক থেকে অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতির অভিযোগে খাদ্য অধিদপ্তরের ২৮ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) এক অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য অধিদপ্তরে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে পদোন্নতিতে জাল সনদের মাধ্যমে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দুদক সুত্রে জানা গেছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এবং উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানের পর খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে কমিটি কতৃক তাৎক্ষণিকভাবে জালিয়াতি ধরা পড়লে উক্ত পদোন্নতির বিষয়ে আগামী ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় পদোন্নতি কমিটির সভা স্থগিত করা হয়।

দুদক জানায়, অভিযান চলাকালীন দুদক টিম পদোন্নতিযোগ্য ৩৮ জনের নথি তলব করে দেখে, কারোরই ব্যক্তিগত নথিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের অনুমতি নেই।তারা প্রত্যেকেই তাদের ব্যক্তিগত ফাইলে বেআইনিভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সনদ অন্তর্ভুক্ত করেছে। পদোন্নতির জন্য তাদের জমাকৃত রেকর্ডপত্র দুদক টিম যাচাই-বাছাইকালে ২৮ জনের কম্পিউটার সার্টিফিকেট জাল মর্মে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পান। এরপর দুদকের তাৎক্ষনিক অভিযানের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জাল সনদ ব্যবহারের দায়ে ২৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া যারা উক্ত কাগজ পত্র সত্যায়িত করেছে ও জেলা অফিস থেকে তা যাচাই না করেই প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করেছে এবং প্রধান কার্যালয়ে পদোন্নতির প্রক্রিয়ায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সততা ও মূল্যবোধের অভাবে কীভাবে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যায়, এ ঘটনা তার প্রমাণ। দুদক দুর্নীতি ও অবক্ষয় রোধে আরও কঠোর অভিযান চালাবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/০৮অক্টোবর/আরকে/ডিএম