খুনির সঙ্গে ঐক্য কেন, ড.কামালকে কাদেরের প্রশ্ন

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৫৩ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিতদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওবায়দুল কাদের। প্রশ্ন রেখেছেন, কোন নৈতিকতায় এই ঐক্য করা যায়।

২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা মামলার ঘটনায় দেয়া রায়ের পরদিন রাজধানীতে সড়ক পরিবহন অধিদপ্তরের এক আলোচনায় এই প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এই মামলায় দণ্ডিতদের মধ্যে সাত জন সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। তাদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিণ্টু খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফও বিএনপিরই নেতা।

আবার তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ কাজী মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

বিএনপি সরকারের আমলে ডিজিএফআই ও এনএসআইএর প্রধানেরও মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন বিএনপি আমলের তিন জন আইজিপিও।

আদালত মন্তব্য করেছে, রাষ্ট্রীয় মদদে এই হামলা করেছে। অর্থাৎ এই দায় সরাসরি বিএনপি সরকারের ওপর দিয়েছেন বিচারক।

বিএনপিকে ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে তাদের সঙ্গে ঐক্যের উদ্যোগ নেয়ায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সমালোচনা করেন কাদের।

 

বলেন, ‘খুনিদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য করবেন, এই জাতীয় ঐক্যে জনগন কোন দিনও বিশ্বাস করবে না, সমর্থন করবে না।’

‘একুশে আগস্টের খুনিরা, একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড-প্লেনার (তারেক রহমান) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। সে যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন সেই দলের সঙ্গে কোন নৈতিকতায় ঐক্য করেন? এই খুনি দলের সঙ্গে ড. কামাল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দুজা চৌধুরী আপনারা তথা কথিত জাতীয় ঐক্য করছেন?’

‘বাংলাদেশের রাজনীতি কি খুনি, দণ্ডিত আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের হাতে ন্যস্ত হবে’- ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা।

‘আমার বিশ্বাস এই জাতীয় ঐক্য বাংলাদেশের জনগন কোন দিনও গ্রহন করবে না। এই ধরণের জাতীয় ঐক্য যারা করে, তারা কত নীতি নৈতিকতাহীন দেওলিয়া রাজনৈতিক দল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’

গ্রেনেড হামলাকে ফরমায়েশি রায় বলায় বিএনপিরও তীব্র সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘ফখরুল সাহেব যা ইচ্ছে তাই বলছেন। তিনি বলছেন এই রায় ফরমায়েশি রায়। সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারাই বলুন, এই রায় কি ফরমায়েশি রায়? বাংলাদেশের বিবেক আছে এমন একজন মানুষ কি বলবে এই রায় ফরমায়েশি?’

‘সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে আমরা সন্ত্রাসের স্বীকার, ক্ষমতায় আপনারা (বিএনপি)। আলামত নষ্ট হলো কেমন করে? হামলাকারীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেল কেমন করে? বলুন।’

‘বিচারপতি জয়নাল অবেদিন তদন্ত কমিটি করে রিপোর্ট দিল কি? প্রতিবেশি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এই কাজটি করেছে।’

‘একটা ভবঘুরে ছেলেকে রাস্তা থেকে ধরে এনে জজ মিয়া নাটক সাঁজানো হলো। ইতিহাস কি বলে এটা ফরমায়েশি রায়? ২৪ জনের প্রাণ চলে গেছে এটা ফরমায়েশি রায় ‘

‘মুফতি হান্নান নিজেই বলেছে তারেক রহমানের নির্দেশ নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে এটা কি ফরমায়েশি রায়? খুনি তাজউদ্দিনকে নিরাপদে বিদেশে পাঠানো হলো এটা কি ফরমায়েশি রায়?’

‘যে গ্রেনেটগুলো অবিস্ফোরিত সেগুলো কেন ধংস করা হলো? কে ক্ষমতায় ছিল এটা কি ফরমায়েশি রায়? জবাব দেবেন’- ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখেন কাদের।

ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/টিএ/ডব্লিউবি