‘সুষ্ঠু ভোট হলে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব’

নীলফামারী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫০

চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, প্রধান দুইটি রাজনৈতিক জোট নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখোমুখি অবস্থানে থেকে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে এবং আমাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিলে ৩০০ আসনেই হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী দেবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে নীলফামারী শহরের টাউন ক্লাব মাঠের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নীলফামারীর চারটি আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

এদের মধ্যে নীলফামারী-১ আসনে সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে জহুরুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আমজাদ হোসেন ও নীলফামারী-৪ আসনে সহিদুল ইসলাম বিল্লাল।

রেজাউল করীম বলেন, ক্ষমতায় গেলে ইসলামী আন্দোলন দেশে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। দুর্নীতি ও মাদক উৎখাত করবে। সমঝোতা ও সহনশীল রাজনীতির বিকাশ ঘটাবে। শ্রমজীবী মানুষ, সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষাসহ স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কায়েম করা হবে। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হলে নারীরা সবচেয়ে বেশি সম্মানিত হবেন। নারীরা নিরাপত্তা ও অগ্রাধিকার পাবে।

চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় এসেছে- সবাই জনগণের স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করেছে। সবাই জনগণের সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। গণ-মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশ শাসনের নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। জনগণের সব মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করেছে। গণতন্ত্রের নামে সর্বত্র দলীয়করণ এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে।

বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, শুধু একটি ভালো নির্বাচন হলেই দেশ ঠিক হয়ে যাবে না। অতীতে এমন বহু নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচিত এবং অনির্বাচিত দুই ধরনের স্বৈরাচারই দেখেছে। ঘুরে ফিরে সেসব স্বৈরাচারী শক্তিকে আবার ক্ষমতায় বসালে দেশে অশান্তি আরও বাড়বে। জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের পর থেকে সেনা মোতায়েন এবং নির্বাচনের দিন তাদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।

চরমোনাই পীর বলেন, দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সরকারি দলের প্রতি সংকট সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বললেও সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সেক্রেটারি জেনারেল এম হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :