আপিলে তারেকসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হবে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৬ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৫১

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তারেক রহমান

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর তা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় আপিল করবে। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তিনজনের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হবে।  

শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। উপজেলার সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাই শিমুল বাজারে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে গণসংযোগকালে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। সেই ঘটনার ১৪ বছর পর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

এই মামলার রায়ে আওয়ামী লীগ মোটামুটি সন্তুষ্ট হলেও পুরোপুরি খুশি হতে পারেনি তারেক রহমানের যাবজ্জীবন হওয়ায়। বিএনপির ভবিষ্যৎ এই কাণ্ডারিকে ক্ষমতাসীনরা গ্রেনেড হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এজন্য তারেক রহমানের মৃত্যুদণ্ড হবে এমনটা আশা করেছিল আওয়ামী লীগ।

এই রায় সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানসহ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করা হবে। তবে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর তা দেখে বিশ্লেষণ করে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া য়ায় সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে তারেক রহমান ছাড়া বাকি কোন দুইজনের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হবে তা জানাননি আইনমন্ত্রী। 

রায় পরবর্তী বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। তাদের কর্মসূচিতে কোনো মানুষ থাকে না, তা জনগণই দেখছে।’

নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীই বলতে পারবেন। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আইনমন্ত্রী শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে আখাউড়ায় আসেন। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে উপজেলা মোগড়া, মনিয়ন্দ, কর্নেল বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভূইয়া, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কায়সার জীবন, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ভূইয়াসহ স্থানীয় নেতারা। পরে মন্ত্রী কসবার উদ্দেশে রওয়ানা হন।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)