কোটা বহালের দাবিতে সড়ক অবরোধের ডাক

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৯ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে বাদ দেয়া কোটা পুনরায় বহালের দাবিতে আন্দোলনরত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রবিবার এক ঘণ্টা সারাদেশে সড়ক অবরোধ করবে তারা।  

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও কোটাবিরোধীদের আন্দোলনের ইন্ধন দেওয়ায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুলসহ কয়েকজনের কুশপুতুল দাহের কর্মসূচিও দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ।

শুক্রবার বিকালে আন্দোলনের মুখপাত্র আ ক ম জামাল উদ্দিন শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

লিখিত বক্তব্যে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকে সরাসরি মদদ দিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি। সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবির ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি লন্ডন বসে তারেক রহমান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সেই আন্দোলনে উস্কে দেওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশনা দিয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আসছিল।’

জামাল বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে। সেই কমিটি ৩ অক্টোবর অনুমোদন দেয় এবং ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করে। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও ৭২ এর সংবিধান অবমাননা করা হয়। আর এই কারণে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন চলে আসছে।’

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার প্রতিবাদে শনিবার বিকাল চারটায় শাহবাগে আসিফ নজরুল ও আকবর আলি খান, সাবেক কেবিনেট সচিব আলী ইমাম ও কলামিস্ট শরিফুলের কুশপুত্তলিকাদাহ কর্মসূচি দিয়েছি। পরদিন রবিবার ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সারাদেশের সড়ক অবরোধ করা হবে।

এছাড়া সারা দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা ও মহানগরীর পৌরসভা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এই কমিটির উদ্দেশ্য হলো বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত কোটা বাস্তবায়ন করা। সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেড (পুরাতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করা।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/এসএস/জেবি)