দুর্গা পূজা উপলক্ষে লালমনিরহাটে সাজসাজ রব

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৫৪

সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে সোমবার থেকে। পূজা উপলক্ষে এখন উৎসবের নগরী লালমনিরহাট। বছর ঘুরে দেবীর আগমনি বার্তায় উৎসবের আমেজ এখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে। দেবীকে বরণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা।

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় এবার ৪৩২টি পূজামন্ডপে পূজা হবে। জেলার কালীবাড়ী, গোশালা বাজার, নয়ারহাট মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি মন্ডপের প্রতিমা শিল্পীরাই প্রতিমায় মাটির কাজ শেষ করে তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজে ব্যস্ত কারিগররা।

নিপুণ করে দেবীকে সাজাতে উৎসাহেরও কমতি নেই তাদের মধ্যে। ইতোমধ্যে পূজামন্ডপবের চোখ ধাঁধানো মঞ্চ তৈরি ও নানা পরিকল্পনা, মন্দির প্রাঙ্গণকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার কাজ শেষ। মন্দিরের সামনের মাঠজুড়ে প্যান্ডেল স্থাপন ও মন্দিরের নানা রং বেরঙ্গের সাজ-সাজ রব চলছে। উৎসবকে ঘিরে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্মব্যস্থতা। আনন্দ বইছে কোমলমতি শিশুদের মাঝেও।

পূজা নিয়ে সবাই আনন্দে মাতলেও প্রতিমা তৈরির কারিগররা মজুরিতে খুশি নন। তারা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মুল্য বেড়ে গেলেও তাদের মজুরি বাড়েনি। প্রতিমা তৈরির কর্ম শেখে নিরুপায় কারিগররা বাধ্য হয়েই স্বল্প মজুরিতে প্রতিমা তৈরি করছেন।

প্রতিমা তৈরির কারিগররা বলেন, পারিশ্রমিক নয়, নজর দিচ্ছি দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা তৈরিতে, মাকে ওপরে রাখতে চাই।

তারা জানান, ধরণ অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে ১৫ হাজার থেকে অর্ধ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। এক একটি প্রতিমা তৈরিতে একজন কারিগরসহ ৫ সহযোগীর ১৫ দিন সময় লাগে। প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির দাম বেশী হওয়ায় প্রতিমা তৈরিতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না।

এদিকে পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি, আনসার ও ভিডিপি এবং স্থানীয় পুজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবেন।

পূজা উদযাপন পরিষদের লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র বর্মন বলেন, গত বছরেরর লালমনিরহাট জেলায় জেলায় মোট ৪২৯টি মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হয়েছিল। এবারে তিনটি পূজা মন্ডপ বেড়ে ৫টি উপজেলায় মোট ৪৩২টি মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম নাসিরুদ্দিন জানান, প্রতিটি মন্ডপে আনসার ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ, র‌্যাবের টহল এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে প্রতিটি মন্ডপের নিরাপত্তায়।

ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :