‘বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকাটা অস্বস্তিকর’

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:০৯ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৪২

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

সারাদেশের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬টি টিমের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস-গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট-২০১৮’।

শনিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে (কাঞ্চন, রূপগঞ্জ) এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. এম. ইউসুফ আলী মোল্লা ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যক মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ, সনদ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসে বিদেশ ভ্রমণের টিকিট তুলে দেন।

এ সময় গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফৈয়াজ খান, এসিএম আইসিপিসির সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল এল হক। অনুষ্ঠানের আয়োজক গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল বলেন, বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দুই হাজারের মধ্যেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান না থাকাটা অস্বস্তিকর। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের দিন এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাদের কোয়ালিটি নিচের দিকে নামছে। এটা দুঃখজনক।

জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশে চার কোটি ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করছে; যা অস্ট্রেলিয়ার এমনকি ইউরোপের অনেক দেশেই দেশেই নেই। এট আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক বিষয়। ভবিষ্যতে এসব শিক্ষার্থীদের দিয়েই আগামীতে সুন্দর বাংলাদেশে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা অবশ্যই প্রোগ্রামিং জগতে শিক্ষার্থীদের অনেক দূর  এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য ড. এম. ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু স্মার্ট ফোন কিংবা অনলাইন সামগ্রী নিয়ে থাকলে হবে না; কাগজের বইয়ের কাছেও যেতে হবে। তা না হলেও অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যাবে।

উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জ্যামিতিক হারে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সে হিসেবে এ ধরনের প্রোগ্রামিং কনটেস্ট সময়ের দাবি। তারা বলেন, প্রতিযোগিতা করলেই বুদ্ধিমত্তার দিকটি ফুটে ওঠে। তখন বোঝা যায়, প্রযুক্তিতে কে বা কারা কতটুকু এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক কায়কোবাদের নেতৃত্বে একটি বিচারক দল দায়িত্ব পালন করেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইওআই, বুয়েট (দুটি টিম) ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকার করে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী প্রতিযোগিতার ফাইনাল কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। আর অনুষ্ঠানের প্রথম দিন শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এদিন মক টেস্টের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকতা হয়। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিল এটিএন বাংলা, দ্য ডেইলি স্টার ও রেডিও একাত্তর।

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/জেবি)