শিক্ষকের পিটুনিতে হাসপাতালে ছাত্র

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৪৯ | প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৪৭

স্কুল ড্রেসের প্যান্ট না পরায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বাউড়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের (ড্রেস) প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমানের বিরুদ্ধে। মারধরে কপাল ফেটে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মমিনুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থী।

শনিবার দুপুর দুইটার দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মমিনুল ইসলাম বাউড়া নবীনগর গ্রামের ভ্যান চালক রেজাউল ইসলামের ছেলে।

আহত শিক্ষার্থী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার স্কুলের ড্রেসের শার্ট পরলেও অন্য রঙের প্যান্ট পরে স্কুলে উপস্থিত মমিনুল ইসলাম। সে কারণে তাকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যেতেই প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম চর-থাপ্পড় দিতে শরু করেন।

এক পার্যায়ে গলায় ধাক্কা দিলে দেয়ালে লেগে কপাল ফেঁেট রক্ত বের হতে থাকে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সেখানকার সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে বাউড়া কমিউনিটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে আহত ছাত্রকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা ছাত্র শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীর কপালে ৩টি সেলাই রয়েছে। এছাড়াও সে কানে প্রচ- আঘাত পাওয়ায় তা ক্রমশ ফুলে উঠছে। সে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন বলে পরিবারকে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমানের শাস্তি দাবি করেন মমিনুলের বাবা রেজাউল ইসলাম। এ ব্যাপারে জানতে বাউড়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমানের মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে ওই স্কুলের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছোট বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের এমন অমানবিক আচরণ কারই কাম্য না।”

পাটগ্রাম হাসপাতালে ছুটে যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মুরাদ হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কোন অবস্থায় মারধর করা যাবে না। এ নিয়ে সরকারিভাবে নির্দেশনা রয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, “এনিয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে প্রথমেই তিরস্কার করা হয়েছে। তবে আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :