চ্যারিটেবল মামলা

খালেদার জামিন বাতিল ও রায়ের দিন ধার্যে আদেশ মঙ্গলবার

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩৮

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল এবং রায়ের দিন ধার্যের বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবেন আদালত।

রোববার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। তবে একইদিন হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলার আদেশের দিন ধার্য থাকায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সময়ের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আগামী মঙ্গলবার আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও জামিন বাতিল এবং রায়ের দিন ধার্যের বিষয়ে আদেশের দিন পুনর্নির্ধারণ করেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা বিএনপির এই নেত্রীর অনুপস্থিতিতে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে স্থাপিত আদালতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।

প্রথমে দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ‘আজ (রোববার) আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন এবং খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল ও রায়ের দিন ধার্যের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর সার্টিফিকেটের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আসামি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলা আজ হাইকোর্টে আদেশের জন্য আছে। এ অবস্থায় হাইকোর্টের আদেশ দেখার জন্য আদালত সোমবার দিন ধার্য করতে পারেন।’

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমরা তার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেছি। আর তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে রিভিশন মামলা করেছি, তার আদেশের দিন ধার্য আছে। তাই আমরা যুক্তিসঙ্গত একটি সময় চাচ্ছি।’

অপর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, ‘পিপির (মোশারফ হোসেন কাজল) অনেক তাড়াহুড়া। তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। আজ আদেশের জন্য আছে বলে আজই আদেশ হয়ে যাবে তা বলা যায় না। আদেশ আজ নাও হতে পারে। তাই যুক্তিসঙ্গত সময় দিন।’

শুনানি চলাকালে জামিন বাতিল হয়ে কারাগারে থাকা মামলাটির অপর দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলাটিতে এ আসামির পক্ষে গত ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর লিখিত যুক্তিতর্ক দাখিল করা হলেও তার পক্ষে মৌখিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন বাকি আছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালত বিচার বিলম্বের জন্য খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে আসছেন না উল্লেখ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ (এ) ধারায় তার উপস্থিতি মুওকুফ করেন।

৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীও আসামি। তিনি পলাতক রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/জেডআর/এআর)