এখনও বি চৌধুরীর প্রত্যাশায় মান্না

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ২২:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে নতুন যে ঐক্য হয়েছে তাতে বিকল্পধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীও যোগ দেবেন এমনটা এখনও প্রত্যাশা করেন এই জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি মনে করেন, শেষ মুহূর্তে বিকল্পধারার এই জোট থেকে বের হয়ে যাওয়া ব্যক্তিগত মান-অভিমানের বিষয়। মান্না এখনও প্রত্যাশা করেন বি চৌধুরী ও তার দল এই জোটে আসবে এবং এতে তারা খুশি হবেন।

রবিবার বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার সঙ্গে আলাপকালে মান্না এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারবিরোধী একটি ঐক্যের আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। পরে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। নেতৃত্ব বাছাই ও রূপরেখা প্রণয়ন নিয়ে এসব দলের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়। তবে গতকাল শনিবার ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে এই জোটের ঘোষণা এলেও শেষ মুহূর্তে তা থেকে সরে যায় বিকল্পধারা।

দলটির অভিযোগ, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার দলের নেতাদের অপমান করা হয়েছে। তবে এই জোটের সঙ্গে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী যুক্ত আছে এজন্য তারা যাননি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বদরুদ্দোজা চৌধুরী। 

বিকল্পধারা ছাড়াই যাত্রা শুরু করল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অথচ এই বিকল্পধারা নিয়েই আপনাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল- এমন প্রশ্নে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যুক্তফ্রন্ট করেছিলাম সেটার লক্ষ্য ছিল একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছিল, সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল, তার মানে ভোটের আগেই সরকার নির্ধারিত হয়ে গেছিল। এ বছর আমরা এটা চাই না। একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে আমরা সবাই লড়াই করছিলাম। তারই লক্ষ্যে আমরা যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলাম। এটার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।’

‘কিন্তু যুক্তফ্রন্ট যথেষ্ট ছিল না। সার্বিকভাবে এই স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং জয়লাভের জন্য দরকার ছিল আরও বৃহত্তর ঐক্য, ব্যাপক জাতীয় ঐক্য। এটা সবাই উপলব্ধি করেছিলেন। আলোচনাও শুরু হয়েছিল। সেই আলোচনায় বিকল্পধারাও ছিল। এবং শেষ পর্যন্ত যে তারা এলেন না। সেটার সপক্ষে গতকালকের একটা দুইটা ঘটনা তারা উল্লেখ করেছেন।’

মান্না বলেন, ‘আমি সে ঘটনায় মূল লাইনের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে যাব না। এটা ব্যক্তিগত ও পারস্পরিক ব্যাপারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। তাতে মান অভিমান, অপমান ক্ষোভ এটা হতে পারে। কিন্তু এটার কারণে জোট ছেড়ে চলে যাবেন এরকম হওয়ার কথা ছিল না। বিকল্পধারা মূলত সেটা করেছে।’

‘আমি আবারো বলছি, ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাবেক রাষ্ট্রপতি ছিলেন, বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট যথেষ্ট প্রবীণ একজন মানুষ। যদিও তিনি কাজেকর্মে এখনো তরুণ আছেন। তিনি এই ঐক্যের মধ্যে থাকবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। এখনো প্রত্যাশা আছে।’

আপনারা এখনো এই প্রত্যাশ্যা করছেন যে, বিকল্প ধারা এই বৃহত্তম ঐক্যের মধ্যে থাকবে, এখানে যুক্ত হবে? এ প্রশ্নে মান্না বলেন, বিকল্পধারা নতুন এই ঐক্যে যুক্ত হলে আমরা খুশি হবো। তারা আসুক সেটা আমরা চাই। সেটা তাদের ওপর নির্ভর হবে। আসলে আমরা খুশি হবো।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/ইএস/জেবি)