‘তরুণ নির্মাতারা মূলধারার শিল্পীদের নিয়ে কাজ করে না’

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০১ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:১৯

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকাটাইমস

ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়িকাপ্রধান গল্প কখনো কখনো আমরা দেখে থাকি। যেসব অভিনেত্রী এ রকমের ছবি করেছেন, তাদের তালিকা ছোট্ট। বিরল সেই তালিকার প্রথম দিকেই থাকবেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। দুই দশক আগে ‘কুলি’ ছায়াছবি দিয়ে আসেন রুপালিপর্দায়। শুরুতেই দর্শকপ্রিয়তা পান। গ্ল্যামারস বলুন আর আটপৌরে নারী বলুন যেকোনো চরিত্রে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নেন পপি। অভিনয় গুণে তিন দফা পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্র-জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে বলেছেন ঢাকাটাইমসকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সৈয়দ ঋয়াদ।

আপনার শুরু লাক্স-আনন্দ বিচিত্রা দিয়ে। সেখানে কিভাবে যুক্ত হন?

আমি তখন অনেক ছোট। ক্লাস এইটে পড়তাম। আনন্দ বিচিত্রা ছবি আহ্বান করে। সেই প্রতিযোগিতায় আমি ছবি পাঠাই। বিচারকরা ছবি বাছাই করেন। পাঠকদের মধ্যেও সেরা সুন্দরী বাছাইয়ের ভোট হতো। আম্মু ছবিটা পাঠিয়ে দেন। এটা মেকআপ ছাড়া ছবি ছিল। সেটাই পাঠিয়ে দেন। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ঢাকা থেকে আনন্দ বিচিত্রার প্রতিনিধিরা খুলনায় আসে। সেখানে আমাদের জেনারেল নলেজের ওপর পরীক্ষা হয়। আমি জানতাম না মেকআপ কিভাবে করতে হয়। তখন এগুলো ছিল না, মেকআপ এত বেশি মানুষ করতেও জানতো না। আমরা মনে করতাম লিপস্টিক দেওয়াটাই সাজ বা মেকআপের অংশ। সেখানে বিচারকরা আমার লিপস্টিক মুছে ফেলতে বললো।

তারপরও তো সেরা হলেন।

খুলনায় ন্যাচারাল বিউটি প্রতিযোগিতায় প্রথম হলাম। সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষাতেও প্রথম। তখন পরীক্ষাও অনেক কঠিন হতো। কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়নি।

সমসাময়িক অন্য কোনো লাক্সতারকা আছে, যার সঙ্গে আনন্দ বিচিত্রায় দেখা হয়েছে।

আমার সমসাময়িক আর কেউ লাক্স থেকে আসেনি। মানে যে বছর আমি বাছাই হলাম সে বছরের কথা বলছি। আগে বা পরে তো অনেকেই লাক্স আনন্দ বিচিত্রা থেকে এসেছে।

আপনার প্রথম সিনেমা নিয়ে বিতর্ক আছে।

এটা একটা ভুল তথ্য সবাই জেনেছে। ইভেন উইকিপিডিয়াতেও ভুল ছিল। আমার প্রথম সিনেমা ‘কুলি’। ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ আমার চার নম্বর ছবি। আরও একটা রেকর্ড আছে। ‘কুলি’ ছবির শুটিং করা অবস্থায় আমি ৩৬টি ছবির সাইন করেছি। এটা আমার লাইফে রেকর্ড। সেই সময়ের শহিদুল ইসলাম খোকন, শওকত জামিল, সোহানুর রহমান সোহান, শিবলী সাদিক। চারজনই তখন খ্যাতিমান নির্মাতা। তারা আমাকে ছবিতে নিয়েছে। এই সময়ে এসে তো বছরে এতগুলো ছবিও রিলিজ হয় না? এখন অনেকেই বলে আমার এতগুলো ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। কিন্তু আদৌ তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায় না। সেই সময়ে সিনেমা মুক্তির আগেই আমি ৩৬টি ছবির নায়িকা।

সাধারণ জীবন থেকে রুপালিপর্দায় আসার গল্পটা কেমন?

তখন অনেক নার্ভাসনেস কাজ করেছে। কারণ এর আগে আমি ক্যামেরার সামনে কাজ করিনি। আমি অনেক নার্ভাস ছিলাম। আমার কো-আর্টিস্ট ছিলেন সানী ভাই, ফরীদি আংকেল। মোটামুটি সেখানে ভালো করেছি। আমার শর্টটাই ‘ওকে’ ছিল।

হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে অভিনয় করেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাই।

উনি একজন বড় মাপের অভিনেতা। তার মতো শক্তিমান অভিনেতা এদেশে খুব একটা নেই। তার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা চলে না। অন্যদিকে তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন অসাধারণ। কাজ করতে গিয়ে কখনো মনে হয়নি তিনি অনেক বড় অভিনেতা। তিনি সেই দূরত্বটা রাখেননি। এখানেই ফরীদি আংকেল অনন্য। আমাকে মেয়ে ডাকতেন। শুটিংয়ে থাকলে উনি টিফিন ক্যারিয়ারে করে পোলাও নিয়ে আসতেন। আমি মজা করে খাচ্ছি উনি এটা দেখতেন। আমাকে গাইড করতেন। আমার অভিভাবক ছিলেন। উনি প্রকৃতই একজন শিল্পী। প্রথম প্রথম আমার অভিনয়ই হতো না, তবু তিনি বিরক্ত হতেন না।

যেই জনপ্রিয়তা নিয়ে পপি শুরু করেছে, গত ১০ বছর সেভাবে তিনি নেই।

এখানে একটা কারেকশন আছে, আমি ‘নেই’ বললে ভুল হবে। আমি কাজটা বেছে বেছে করছি। এটা শুধু আমার দুর্ভাগ্য বিষয়টি তেমন নয়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই দুর্ভাগ্য বলব। আগে বছরে এক থেকে দেড়শ ছবি রিলিজ হতো এখন সেটা ৩০-৩৫টিতে নেমে এসেছে। আগে যে ভালো ভালো নির্মাতারা ছিলেন বিগত বছরগুলোতে তারা নির্মাণে নেই কিংবা ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে আছেন। একটা সময় দেখা যেত শাবানা ম্যাডামকে দিয়ে ‘ভাত দে’ বানাচ্ছেন, অন্যদিকে আবার ববিতা ম্যাডামকে নিয়ে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ বানাচ্ছেন। নির্মাতাদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা হতো। এখন সেরকম কিছু হচ্ছে না। সেখানে পপিরা কাজ করবে কিভাবে?

তারপরও তরুণ নির্মাতারা তো বেশ ভালো করছেন।

এখানে আমার অভিযোগ হলো, এখনকার তরুণ নির্মাতারা একটা সার্কেল মেইনটেইন করেন। টিভি থেকে এসে যারা বড়পর্দায় কাজ করছেন তারা। টিভি নাটকে যাদের ভালো বন্ডিং আছে তাদের নিয়েই কাজ করে, সেখানে মূলধারার কাউকে নেওয়া হয় না। ফলে তরুণ পরিচালকদের সঙ্গে আমাদের কাজ করা হচ্ছে না।

প্রযোজকরা এখন লগ্নি করতে সাহস পান না। টাকা উঠে আসে না।

আজ থেকে আট-দশ বছর আগেও হলের সংখ্যা ছিল বারো-তেরো শ। এখন সেটা নেই। গত দশ-বারো বছরে সিনেমা হলের সংখ্যা নেমে এসেছে আড়াই থেকে পৌনে তিনশতে। তাহলে টাকাটা উঠার পথই আলটিমেটলি বন্ধ হয়ে গেছে।

মূলধারার নির্মাতারা কী এর দায় এড়াতে পারেন?

তারা ভালো সিনেমা দেননি, অশ্লীলতা ঠেকাতে পারেননি। দর্শকবিমুখ হয়েছে। অশ্লীলতা তো আছেই। যে কারণে আমাদের শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই কাজ ছেড়ে দিয়েছে। সে কারণেই দর্শকবিমুখ হয়েছে। লোকসান গুনতে না পেরে মালিকরা বাধ্য হয়েছেন ব্যবসা গোটাতে।

এ অবস্থা উত্তরণের উপায় কী?

হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। দেশের অনেক জেলাতেই দুই বা তার বেশি হল ছিল, এখন এমনও জেলা আছে একটি হলও নেই। সরকারি উদ্যোগ ছাড়া এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তার ওপর আছে সিন্ডিকেট। এরা বলে এর সিনেমা চলে, ওর সিনেমা চলে না। সব সিনেমাই কিন্তু চলে। এখন মাল্টিপ্লেক্স বানাতে হবে। সরকার থেকে প্রতিটি মার্কেট বা শপিংমলে বাধ্যমূলক মাল্টিপ্লেক্স করার নিয়ম করতে হবে।

সরকার তো অনুদানের ফিল্ম করছে, টাকাও দিচ্ছে।

আপনি শুধু টাকা দিলেই তো দায় এড়াতে পারেন না। আপনার সন্তানকে দেখাশোনাও করতে হবে। আর সরকার যে টাকা দিচ্ছে এই টাকা কারা পাচ্ছে? খোঁজ নিয়ে দেখুন মূল ধারার কোনো চলচ্চিত্রে নির্মাতারা টাকা পাচ্ছে না। আর যারা টাকাটা পাচ্ছে এরা সঠিক সময় নির্মাণও করছে না। তাহলে সরকারের দায়হীন লগ্নি কি কাজে আসবে। আমাদের জাতীয় খেলা হাডুডু অথচ কেউ তাদের চেনে না। আর ক্রিকেট খেলোয়াড়দের দিকে সবাই চেয়ে থাকে কারণ প্রোপার টেইক কেয়ার করা উচিত। টাকাটা কিভাবে তোলা হবে, কারা চালাবে, কিভাবে রান করবে এমন কিছু মানুষকে এর দায়িত্ব দিতে হবে, যারা এটা নিয়ে ভাবে। যারা চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবে না তাদের কাছে দায়িত্ব দিলে যা হওয়ার তাই হবে।

তবে ভালো কাজও কিন্তু হচ্ছে। যেমন ‘আয়নাবাজি’, ‘ডুব’।

আয়নাবাজির পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী টিভি থেকে এসেছেন। তার সিনেমার আর্টিস্ট যিনি তিনিও টিভির লোক। সেক্ষেত্রে মেইন স্ট্রিমের কাউকে নিয়ে তারা কাজ করছেন না। দুর্ভাগ্য বলতে হবে কারণ তারা আমাদেরকে নিয়ে কাজ করছেন না। আবার তাদের ছবির সংখ্যাও কিন্তু বেশি নয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ওয়াইফকে নিয়ে ছবি বানান। তার বাইরে কাউকে নিয়ে কাজ করেন না। সেটা ভালো হলেও ইন্ডাস্ট্রির কি যায় আসে! আর এই ভালো কাজ আমার কাছে কিভাবে আসবে। গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই কাজ করেন সাত-আট বছরে একটি।

একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। সমসাময়িক অনেকেই নেই। আপনিও কম কাজ করছেন। সেই জায়গায় আপনি কাজ করলে চ্যালেঞ্জ মনে হবে না।

আমি এখন কাজ করছি সংখ্যায় সেটা খুব বেশি না। এর কারণ আমি একটু বেছে কাজ করছি। চাইলে তো অনেক ছবি সাইন করা যায় না। কিন্তু মানটা তো ধরে রাখা উচিত। তবে দর্শক যতদিন চায় আমি ততদিন স্ক্রিনে থাকব। আমি আরো ভালো কিছু কাজ করতে চাই। আমি আমার সেরাটা দিতে পেরেছি এমনটা মনে হয়নি।

আপনার সেরা কাজ কোনটি?

একজন শিল্পী কখনোই তার সেরা কাজ বাছাই করতে পারে না। আমার ভালো কাজ আমি দিতে পারিনি। শিল্পী হিসেবে আমি অতৃপ্ত। আমার সেরাটা কখনো দিতে পারিনি।

এখন যারা তরুণ নির্মাতা তাদের মধ্যে কাদের কাজ ভালো লাগে?

তরুণদের অনেকেই খুব ভালো কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অনেক প্রতিভাবান ও মেধাবী নির্মাতা রয়েছেন। তারা প্রচুর স্টাডি করেন। বরং আমার দুর্ভাগ্য তাদের অনেকের সঙ্গেই আমার কাজ করা হয়নি। আমার ইচ্ছে আছে তাদের সঙ্গে কাজ করার।

তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। সাতবার বাচসাসের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন। এ বিষয়গুলো কেমন লাগে?

প্রথমত আমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য অভিনয় করি না। কিন্তু পুরস্কার নিশ্চয়ই কাজের জন্য বাড়তি প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। শিল্পীর স্বীকৃতিও পুরস্কারের মাধ্যমে। শিল্পী হিসেবে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করি। এখন তো ভালো কাজের সংখ্যা জিরোতে নেমে এসেছে।

এখন কি কাজ করছেন?

সাহসী যোদ্ধা, যুদ্ধ শিশুসহ আরও বেশ কিছু ছবির কাজ করছি।

এখন পর্যন্ত কতগুলো ফিল্মে অভিনয় করেছেন?

দেড় শর মতো হবে, তবে সঠিক সংখ্যাটা বলা মুশকিল।

টেলিভিশন নাটকে পপিকে দেখা যায়, কিন্তু সেখানেও নিয়মিত নন।

আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই প্রতিবছর কিছু স্পেশাল ডেতে টিভি নাটক করি। এটা একেবারেই আমার দর্শকদের জন্য। অনেক দর্শকই হলে গিয়ে ছবি দেখে না। তারা পপিকে দেখতে চান। সে কারণেও টিভিতে কাজ করার আগ্রহ পাই।

আপনাদের সময়ের মহাতারকা সালমান শাহ। তার সঙ্গে সিনেমা সাইন করেছেন। না করা হয়নি।

আমাকে যখন প্রথম সিনেমার কথা বলা হয় আমি ফিল্ম করব না এমন একটা ব্যাপারই ছিল। আমি তার সঙ্গে অভিনয় করব বলেই ফিল্ম করতে রাজি হয়েছি। পরে আমি একটা ইন্টারভিউতে বলেছি আমি সালমান শাহর ফ্যান। সৌভাগ্যক্রমে তার সঙ্গে আমি চারটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। দুর্ভাগ্যক্রমে তার সঙ্গে আমার একটি ছবিও করা হয়নি। প্রথম ছবিটি চুক্তির পর সালমান শাহ নিজেই রেফার করেছিলেন আমাকে নেওয়ার জন্য। এটা আমার কাছে অনেক মেমোরেবল। এছাড়া কাঞ্চন ভাই থেকে শুরু করে আজকের ইমন-নীরবদের সঙ্গে কাজ করেছি। এজন্য আমি ভাগ্যবান।

চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচিত সদস্য আপনি, চলচ্চিত্রের জন্য কি করছেন?

চলচ্চিত্র আমার কাছে ফ্যামিলি। এখন তাদের জন্যই কাজ করতে চাই। ফিল্মের মানুষের শেষ সময়ের জন্য কোনো সঞ্চয় থাকে না। তাদের জন্য কিছু করতে চাই। এই মানুষজনের জন্যই তো আমি আজকের পপি। হয়তো অনেকে দান করে আবার সেলফি তুলে। সেটা শিল্পীর জন্য অসম্মানজনক। আমি চেষ্টা করি সাধ্যের মধ্যে সহযোগিতা করার।

অনেকেই বলে থাকে পপি বিয়ে করবেন কবে। আমাদেরও প্রশ্ন সেটা?

খুবই বোরিং প্রশ্ন এটা। আমি খুব ইরিটেট হই। কারণ বিয়ের ব্যাপারটা ব্যক্তিগত বিষয়। যারা আমার বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে অতি উৎসাহী বা মাতামাতি করে, আসলেই যদি তারা আমাকে ভালোবাসেন, আমার বিয়ের কথা চিন্তা না করে তাদের কিছু সম্পত্তি এবং টাকা-পয়সা আমার নামে ডিপোজিট করলে বেশি খুশি হতাম। কারণ তারা তো আমাকে নিয়ে অনেক ভাবেন এটা সে জন্যই। ইনফিউচারে আমার ট্রিটমেন্টের পয়সা চলে আসবে।

পপির চিকিৎসার জন্য পয়সার অভাব হবে?

পয়সার অভাব না ভাই। এটা ভালোবাসা। ফ্রি উপদেশ দিয়ে কেন ভালোবাসা দেখাবেন। পকেটের পয়সা খরচ করে ভালোবাসা দেখান না ভাই। আপনি এইভাবেই লিখবেন। যারা বিয়ে করিয়ে দিতে চান তারা কি আমার দায়িত্ব নেবেন। আপনারা আর্টিস্টদের কেন সম্মান করেন না। আমরাও তো মানুষ। তাই মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলোতে কেন নাক গলান।