ছেঁউড়িয়ায় সাধু-ভক্তদের ভিড়ে কাঙালিনী সুফিয়া

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৮

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

উৎসবের আমেজ এখন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ার লালন আঁখড়াবাড়িতে।বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির ১২৮তম তিরোধান দিবসের তিনদিনের এ আয়োজন শুরুর আগেই আঁখড়াবাড়িটিতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

সাধু-ভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে আঁখড়াবাড়ি। এরই মধ্যে এসে তার মোহনীয় সুরে মাতিয়ে রেখেছেন বাউলগানের জীবন্ত কিংবদন্তি কাঙালিনী সুফিয়া।   

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে বার্ষিক এ উৎসবের তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা। এখন চলছে উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

সোমবার সকাল থেকে দেশ-বিদেশের সাধুরা দলে দলে এসেই ছোট ছোট আসরে গাইতে শুরু করেছেন সাঁইজির গেয়ে যাওয়া অমর সব বাউল গান। কেউ কেউ আবার গুরুর মুখে শুনছেন দেহতত্ত্বের কথা, জানার চেষ্টা করছেন মানবজীবন সম্পর্কে। কেউবা আবার আসরেই বিশ্রাম নিচ্ছেন।

অর্ধ শতাধিক গানের আসর জমে ওঠার মাঝেই সকালে লালন আঁখড়াবাড়িতে দেখা গেছে কাঙালিনী সুফিয়াকে। প্রায় ৬০ বছরের এই বাউলশিল্পী ঘুরে ঘুরে তার গানের সুরে মাতিয়ে রাখছেন ছোট ছোট আসরগুলোকে। তার এই আসরকে ঘিরে মুগ্ধ হয়ে গান শুনছেন ভক্তরা। কাঙালিনী সুফিয়ার বয়স বেড়েছে, গায়ের তেজটাও নেই আগের মতো। এরপরও গাইছেন, যতটা সাধ্য তার।

সাধু ফকির হাবিল উদ্দিন বলেন, ‘এখানে আমরা আসি আত্মার টানে। লালন তিরোধান দিবসের উৎসব শুরু হবে মঙ্গলবার, তবে আমরা রবিবারেই চলে এসেছি। সাঁইজির গেয়ে যাওয়া অমর গান গাইছি, ভক্তরা সেগুলো শুনছেন। আমরা গানের অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছি।’

ফকির নাদিম শাহ বলেন, সাঁইজির গান গাওয়ার কোনো সময় নেই। যেকোনো সময় সাঁইজির গান গাওয়া যায়। এর জন্য আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন পড়ে না বাউল ভক্তদের। মুল বিষয় হলো সাঁইজির বাণী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তবে কাজে লাগানো।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হবে, চলবে আগামী বৃহস্পতিবার ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)