ঢাকা চিড়িয়াখানায় ক্যাঙ্গারু, ফিরছে শিম্পাঞ্জিও

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫৭

রেজা করিম, ঢাকাটাইমস

অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকা চিড়িয়াখানা। খবর পেয়ে দর্শণার্থীরা আসছেন দূর থেকেও।
জীবনে প্রথমবারের মত ক্যাঙ্গারু দেখতে বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে ডেমরার মিঠু। ক্যাঙ্গারু দেখে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। প্রাণীটির ব্যাতিক্রমী লাফালাফি দেখে একটু পর পর লাফিয়ে উঠছে সেও। বাবাকে বলছে, ‘বাবা.. ও.. বাবা ..ওদেরকে (ক্যাঙ্গারু) আমাদের বাড়ি নিয়ে যাব’।
মিঠুর এমন আবদারে বাবা শুধু হাসছেন, বলছেন না কিছুই। ছেলের মতো ক্যাঙ্গারু দেখে তিনিও ভীষণ আনন্দিত।

তবে ক্যাঙ্গারু এই প্রথম আসেনি চিড়িয়াখানায়। এর আগেও আনা হয়েছিল প্রাণীটিকে। তবে বছর দুয়েক আগে মারা যাওয়ার পর থেকে শূন্য থাকে নির্ধারিত স্থান। তবে গত ১১ অক্টোবর ১৬ লাখ টাকা দিয়ে কেনা এক জোড়া প্রাণী এসে পৌঁছে চিড়িয়াখানায়।

চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি ৪৫ লাখ টাকায় বেশকিছু প্রাণী কেনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে এক জোড়া উট, তিনটি উটপাখি ও হনুমান। তবে ক্যাঙ্গারু দুটির বিষয়ে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি বলে জানান তারা।

চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এর আগেও চিড়িয়াখানায় ক্যাঙ্গারু ছিল। মাঝে কয়েক বছর ছিল না। সম্প্রতি আসা ক্যাঙ্গারু দুটি বেশ ভালো রয়েছে। তারা লাফালাফি করছে, বেশ খুশি দেখাচ্ছে। আশা করছি তাদের ব্যবস্থাপনায় কোন সমস্যা হবে না।’  
নতুন প্রাণী আসলেও চিড়িয়াখানায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। দর্শণার্থীদের অভিযোগ, সময়ের ¯্রােতে ঐতিহ্যবাহী চিড়িয়াখানাটির শ্রী বৃদ্ধি না হয়ে শ্রী হানিই ঘটেছে।

এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে চিড়িয়াখানার এক কর্মচারী বলেন, ‘অনেক প্রাণীর জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকলেও সেগুলোর অনুপস্থিতি ব্যথিত করেছে দর্শনার্থীদেরকে। এজন্য দর্শনার্থীরা তীব্র সমালোচনাও করেছেন নানা সময়ে।’

তবে কিউরটর নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে একটিমাত্র প্রাণী চিড়িয়াখানায় অনুপস্থিত। তা হলো শিম্পাঞ্জি। তিনি বলেন, ‘দুবাই চিড়িয়াখানা থেকে আমরা বেশকিছু প্রাণী উপহার হিসেবে পাব। হনুমান ও শিম্পাঞ্জিসহ বেশকিছু প্রাণী পাবো তাদের কাছ থেকে। আমরাও তাদেরকে কিছু প্রাণী দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করছি। এ ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে দুবাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আলোচনা চূড়ান্ত হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সেগুলো নিয়ে আসা হবে।’

চিড়িয়াখানার উন্নয়নে কাজ চলছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রায় ৬০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত চিড়িয়াখানায় বিগত বছরগুলোতে উন্নয়ন কাজ হয়নি বললেই চলে। তবে এখন উন্নয়নের কাজ চলছে। বিশেষ করে গত তিন বছর ধরে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা চিড়িয়াখানাকে ‘বিশ্বমানের’ করে গড়ে তোলার জন্য নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগের চেয়ে পরিবেশ উন্নত হচ্ছে। পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে একটি বিশ্বমানের চিড়িয়াখানা আমরা দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি।’