মাঝিদের স্বেচ্ছাশ্রমে নদীতে ঘাট নির্মাণ

এইচ এম গিয়াস উদ্দিন, ঝালকাঠি
 | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪৯

ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট থেকে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নয়ারাস্থা মধিপুরের ট্রলার ঘাট না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীসহ ট্রলার মাঝিদের। তাই জোড়াতালি দিয়ে মাঝিদের নিজ খরচে ও স্বেচ্ছাশ্রমে ঘাট তৈরি করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও এখানে পাকা ট্রলার ঘাট নির্মাণ না করায় প্রতিদিন শতশত যাত্রীর ট্রলারে উঠতে নামতে হয়রানি হতে হচ্ছে। কারণ নদীর পানি জোয়ার ভাটায় উঠানামা করায় যাত্রীদের কাঁদা পানি পেরিয়ে উঠানামা করতে হয়। প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ইজারা দেয়া হলেও সুগন্ধা নদীর দুপাড়েই নির্মাণ করা হয়নি কোন পাকা ঘাট বা সিঁড়ি।

তাই ইজারাদারসহ সাধারণ যাত্রীদের দাবি, দ্রুত সুগন্ধা নদীর দুই পাড়ে পাকা ঘাট বা সিঁড়ি নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার সাইদুল ব্যাপারী জানান, দেশের উন্নয়নে এত কাজ করা হয় শুনছি, কিন্তু আমাদের পৌর খেয়াঘাটের যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে এখানে কোন পাকা ঘাট নির্মাণ করা হয়নি। এ জন্য আমরা পৌর মেয়র, পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবার শরণাপন্ন হলেও কোন সুফল পাইনি।

ইজারাদার আরো জানান, পৌরসভা থেকে প্রতি বছর এ ঘাট মোট প্রায় দুই লাখ টাকায় ডাক নেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ে কোন পাকা স্থায়ী ট্রলার ঘাট নির্মাণ না করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই শ্রম ও অর্থ দিয়ে কাঠের তৈরি ঘাট নির্মাণ করছি। এ ঘাট দিয়ে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের উঠানামা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ।

এ ঘাটের মাঝি মো. বেলায়েত জানান, ইতিপূর্বে জেলা পরিষদ থেকে একটি ঘাট নির্মাণ করা হলেও তা মাটির নিচে দেবে গেছে। তাই আমরা এ ঘাটের ২৪ জন মাঝি প্রতিবছরের ন্যায় এবারো নিজেরাই শ্রম ও অর্থ দিয়ে এভাবে ঘাট নির্মাণ করে দায়সারাভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, এই ঘাট দুটি নির্মাণের বিষয়ে আমার পরিকল্পনা আছে। বিশেষ করে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই ঘটলার প্রাক্কলণ তৈরি করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই দুই পাড়েই ঘাট নির্মাণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :