মেকিং আর ব্রেকিংয়ের খেলা চলছে: কাদের

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩৭ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ২২:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

দেশে নির্বাচন এলে বিভিন্ন হিসাব সামনে চলে আসে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের দেশে যখনই নির্বাচন আসে বিভিন্ন হিসাব সামনে চলে আসে। ১৪টির মতো অ্যালায়েন্স এখন কাজ করছে। ২০০টির উপরে রাজনৈতিক দল রয়েছে। এখন মেকিং আর ব্রেকিংয়ের খেলা চলছে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এরপর সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, ‘এই যে মেকিং আর ব্রেকিং এর খেলা, এই খেলায় ফাইনাল শেপটা (আকার) কি নেবে সেটা এখনই বলা মুশকিল। আমাদের সঙ্গেও কিছু কিছু দল আসতে চাইছে। সাতটি বাম সংগঠনের একটি জোট আমাদেরকে চিঠি দিয়ে গেছে। নির্বাচনী জোটে আমাদের সঙ্গে আসার ব্যাপারে জাকের পার্টি আমার সঙ্গে কথা বলেছে। এছাড়া নাজমুল হুদা আমাদের সঙ্গে আসতে চান। এ ব্যাপারে এটা তো গোপন কিছু নয়।’

‘নির্বাচনে ভারত নাক গলাতে চায় না’

বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারত নাক গলানোর মতো কোনো ভূমিকা পালন করতে চায় না উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘ভারত চায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন তারা প্রত্যাশা করে। আমাদের নির্বাচনে নাক গলানো মতো কোনো ভূমিকা পালন করতে চায় না।’

‘শ্রিংলার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তারা আগে থেকেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন তারা প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের নির্বাচনে জনগণের প্রতিফলিত হবে, এটাই গণতন্ত্রিক একটি দেশ হিসেবে ভারত প্রত্যাশা করে।’

‘মাহবুবকে নিয়ে নাসিমের বক্তব্য আ. লীগের নয়’

গতকাল সাংবিধানিক পদে থেকে গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগ দাবি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাহবুব তালুকদারের বিষয়টি নিয়ে কেন এতো হৈ চৈ? আমি এটা জানি না। একজন একটি বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতেই পারেন। এতে কি নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে? আমি তো মনে করি ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার যে কোনো নির্বাচন কমিশনারের রয়েছে।’

‘তার (মাহবুব) সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের ভিন্নমত হয়েছে। তাতে করে নির্বাচন কমিশনে কোনও সংকট তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমরা কেন নির্বাচন কমিশনে কারো (মাহবুব তালুকদার) পদত্যাগ দাবি করবো! আমি এবং আমাদের দল এ ধরনের কোনো চিন্তা ভাবনাও করেনি।’

কাদের বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আমরা যখন দলীয় সভায় অংশগ্রহণ করি, তখন কি সবাই এক ইস্যুতে একমতে মিলিত হতে পারি? এখানে তো নির্বাচন কমিশন সেখানে ভিন্নমত হতেই পারে।’

মাহবুব তালুকদারকে নিয়ে মোহাম্মদ নাসিমের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বক্তব্য নয় বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বলেন, ‘একজন ভিন্নমত পোষণ করলেই তার পদত্যাগ দাবি করতে হবে, এর কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না। এটা তার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। আমাদের দলীয় এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেই। এটা তার পার্সোনাল ওপিনিওন কিংবা ১৪ দল... তারা কি চিন্তা করেছে আমি তা জানি না।’

‘তবে মাহবুব তালুকদার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে সেটা তার (মাহবুব) নিজের ব্যাপার। আমরা আওয়ামী লীগ থেকে কোনও পদত্যাগ দাবি করছি না।’

ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/টিএ/ডিএম