গ্রেনেড হামলায় তারেক সম্পৃক্ত নয়: নজরুল

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানের সম্পৃক্ততা ছিল না। মামলার প্রধান সাক্ষী মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নির্যাতন চালিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি নিয়ে তাকেও ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।  

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আফসার আহম্মদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,সাবেক সংসদ সদস্য আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এ আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন কমিশনকে বর্তমান সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে নজরুল বলেন, 
‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করা সরকার চায় না, নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সরকার চায়।’

‘আমরা আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না, বর্তমানে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের পেটোয়া পুলিশ প্রশাসন। এ সরকারের আমলে সামান্য ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাহলে তাদের অধীনে কিভাবে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ,ভাষা আন্দোলন,এরশাদবিরোধী আন্দোলনে অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। তারা আর রক্ত দিতে চান না।’ 

খালেদা জিয়া সুস্থ হলে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তারপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার অনুরোধ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ তারা জাতীয় ঐক্য নিয়ে হাসেন,কামাল হোসেনকে নিয়ে হাসেন,আমেরিকার দালাল বলেন। কামাল হোসেন যখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ছিলেন, তখন কি তিনি আমেরিকার দালাল ছিলেন না? তখন তো আপনারা তাকে ফেরেশতা ভাবতেন। আর এখন তিনি আপনাদের সাথে নেই, সেজন্য দালাল হয়ে গেছেন।’

সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রধান শিকার বিএনপি বলে দাবি করে নজরুল বলেন, বিএনপিকে রুখে দিতে পারলেই তাদের সারাজীবন ক্ষমতায় থাকা সহজ হয়ে যাবে। তখন এদেশে তাদের একদলীয় বাকশালের বিরোধিতা করার মত কেউ থাকবে না। এজন্য তারা মামলা-হামলা দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংসের অশুভ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হতে দেবে না এদেশের জনগণ। কারণ, বিএনপির সাথে জনগণ আছে, থাকবে।’

বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী দাবি করে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন,‘সারা দেশের মানুষের অংশগ্রহণে সঠিক পরিকল্পনার কারণেই আমরা স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সফল হয়েছিলাম। এখনও স্বৈরাচারী সরকার দেশ ও দেশের মানুষকে শাসন করছে।জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে জনগণ এই সরকারের পতনে আশান্বিত হয়েছে। সরকার ভয় পাচ্ছে বলেই এই ঐক্যকে নিয়ে বাজে কথা বলছে। এখন তৃণমূলেও ঐক্য তৈরি হয়েছে। বিএনপি এখন সুসংগঠিত। তাই আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি।’

‘আমাদের দাবিগুলো সুস্পষ্ট। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের সময় নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। তাহলেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা পাবে সাধারণ জনগণ।’

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আফসার আহম্মদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাহানারা সিদ্দিকী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/এসআর/এআর)