বাংলাদেশ ৪১, জিম্বাবুয়ে ২৮

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৫১ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৪৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামীকাল। রবিবার মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। এই ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৭০তম ওয়ানডে ম্যাচ। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে তার মধ্যে ৪১টি ম্যাচ জিতেছে। বাকি ম্যাচগুলো জিতেছে জিম্বাবুয়ে।

১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪৮ রানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ১০টি ওয়য়ানডে ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। ১১ ও ১২তম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল। ১৩তম ম্যাচে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ২০০৪ সালে হারারেতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ৮ রানে।

এই একটি ম্যাচে জয় পাওয়ার পর টানা চার ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। কিন্তু পরে টানা তিনটি জয় পায় টাইগাররা। এরপর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে একের পর এক সাফল্য পেতে থাকে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বশেষ দশ ম্যাচের দশটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করে। আর গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলে দুইটিতেই বাংলাদেশ জয় পায়।

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে এখন পর্যন্ত যে কয়টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ৪৫ ম্যাচে ১৪০৪ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে তার তিনটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন তামিম ইকবাল। ৩৮ ম্যাচ খেলে ১৩৭৪ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও নয়টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার।

১২২২ রান করে তৃতীয় অবস্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর। ১২০৩ রান করে চতুর্থ অবস্থানে আছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। ১১৯৫ রান করে পঞ্চম অবস্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের এলটন চিগুম্বুরা। ১১৫২ রান করে ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিলটন মাসাকাদজা।

ব্যাটিংয়ের ন্যায় বোলিংয়েও শীর্ষে আছেন সাকিব আল হাসান। তার উইকেট সংখ্যা ৭৪টি। ৬২টি উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৫৬ উইকেট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন বাংলাদেশের আব্দুর রাজ্জাক। ৩৫ উইকেট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের রে প্রাইস। ৩২টি উইকেট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের প্রসপার উৎসেয়া।

ব্যাটিং-বোলিংয়ে শীর্ষে থাকলেও সাকিব আল হাসান এই সিরিজে খেলবেন না। হাতের ইনজুরির কারণে এখন মাঠের বাইরে রয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তামিম ইকবালও এই সিরিজে খেলবেন না। তিনিও হাতের ইনজুরিতে ভুগছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে মোট তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। ২৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। এই ভেন্যুতেই ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ তথা শেষ ওয়ানডে ম্যাচ।

চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে দুই দল চলে যাবে সিলেটে। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ নভেম্বর শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এবারই প্রথমবারের মতো সিলেটে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সিলেটে ম্যাচ শেষে করে দুই দল আবার ঢাকায় ফিরবে। ১১ নভেম্বর মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ।

(ঢাকাটাইমস/২০ অক্টোবর/এসইউএল)