নারায়ণগঞ্জে নিহত চারজনের একজন বাসচালক লুৎফর

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৯ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২২:৪৭

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় উদ্ধার করা চারজনের ও লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেলেও অন্য তিন যুবকের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত।

বাসচালক লুৎফর মোল্লাসহ গুলিবিদ্ধ চার যুবকের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

রবিবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে চার যুবকের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে বাসচালক লুৎফর মোল্লার (৩৬) পরিচয় জানা গেছে। তার বাবার নাম মনসুর মোল্লা। তিনি রাজধানী ঢাকার রামপুরায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। পেশায় একজন বাসচালক। নিহত অজ্ঞাত বাকি তিনজনের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হবে।

নিহতদের প্রত্যেকের মাথায় গুলিবিদ্ধ ছিল বলে ময়নাতদন্ত শেষে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার  (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিদ্ধ হওয়া গুলিগুলো বের করা হয়েছে। এছাড়াও লাশের মাথার পেছনের অংশ ও মুখ থেঁতলানো রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতের পর তাদের মৃত্যু হয়েছে।

বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে স্ত্রী রেশমা আক্তার নিহতের পরনের টি-শার্ট দেখে তার স্বামী লুৎফরের লাশ সনাক্ত করেন। সকালে টেলিভিশনে আড়াইহাজারে চারজনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তিনি। 

রেশমা আক্তার জানান, গত শুক্রবার বিকেলের দিকে তার স্বামী লুৎফর বাসা থেকে বের হন। সর্বশেষ ওইদিন দিবাগত রাত ১টার দিকে স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় তার। এরপর থেকে তিনি লুৎফরের মোবাইল ফোন বন্ধ পান। তাদের ছেলে রিশাদ ৮ম শ্রেণি ও মেয়ে লিজা ৪র্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।

পুলিশের ধারণা, অন্য কোথাও হত্যা করে লাশগুলো এখানে ফেলে রাখা হয়। লাশগুলোর পাশে পড়ে থাকা দুটি দেশীয় পিস্তল ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ভোরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশগুলো উদ্ধার করেন তারা। প্রতিটি লাশ ক্ষত-বিক্ষত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।

ওসি এম এ হক জানান, তারা আসলে ডাকাত কিনা, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)