পাইকারি গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে: রিজভী

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৩০ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ছবিতে রবিবার নারায়ণগঞ্জে গুলিতে নিহত চার যুবকের একজন

রবিবার নারায়ণগঞ্জে সড়কের পাশে চার যুবকের ও উত্তরায় দিয়াবাড়িতে কাশবনে দুই যুবকের লাশ উদ্ধারকে গুপ্ত হত্যা হিসেবে চিহ্নিত করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণ-যুবক সমাজকে ভয় পাইয়ে দিতে  সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশব্যাপী পাইকারি গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে।

সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র এই মন্তব্য করেন। বলেন, ‘আর এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হয়েছে ইনডেমনিটি। কারণ একটাই, একতরফাভাবে নির্বাচন করতে তরুণ-যুবকদের কোনো যেন প্রতিরোধ না হয়। অবৈধ সরকার যাদেরকে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবে তাদেরই লাশ ধানক্ষেত, খাল বিলে পড়ে থাকবে।’

এছাড়াও সারাদেশে এখন আবারও সড়কের পাশে, নদীর ধারে, ঝোঁপঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে যুবকদের রক্তাক্ত লাশ। এর সঙ্গে বিচারবর্হিভূত হত্যা তো প্রতিদিন চলছেই।’ 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলতে চাই- যুব সমাজ, তরুণ সমাজ, ছাত্রসমাজ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি জনতা আপনার দুঃশাসনের যাতাকলে পিষ্ট। তারা আপনাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই মানুষ হত্যা করে, গ্রেপ্তার নির্যাতন করে আর রেহাই পাওয়া যাবে না। চারিদিকে এখন শুধু সরকার পতনের আওয়াজ।’ 



বিএনপির স্থায়ী কিমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোরও সমালোচনা করেন রিজভী। বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রাখতে চাচ্ছে শুধুমাত্র তাঁর গদি রক্ষার জন্য।’ 

‘আসলে আওয়ামী সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা অত্যাধিক মাত্রায় দমনপীড়নের নীতি চালিয়েও স্বস্তি ও শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না। এজন্য সারাদেশে হাজার হাজার গায়েব মামলায় লক্ষ লক্ষ জ্ঞাত-অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করার পর এখন জাতীয় নেতাকর্মীদের আটকের পালা শুরু করেছে। তার প্রথম শিকার হলেন আমীর খসরু।’

সকালে নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকে মৎসজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাবকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন, সাহেদা রফিক, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সালাম আজাদ, মনির হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/বিইউ/ডব্লিউবি)