মানিকগঞ্জে মনির হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৩৭

মানিকগঞ্জে কলেজ ছাত্র মনির হোসেন হত্যা মামলায় চার আসামির মৃত্যুদ- ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড- দিয়েছে আদালত। এ মামলায় অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ শহীদুল আলম ঝিনুক সোমবার বেলা বারোটার দিকে এই রায় দেন।

মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন, বাদশা মিয়া, লাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও আজগর চৌধুরী। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আক্তার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। আদালতে রায় ঘোষণার সময় বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন। বাকী সবাই পলাতক রয়েছেন।

সরকারপক্ষের পিপি আব্দুস সালাম জানান, মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মনির হোসেনকে ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণ করা হয়।

লাশ উদ্ধারের পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর মনির হোসেনের মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি বাদশা মিয়ার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ ১২ সেপ্টেম্বর বংশি নদীর ভাষা শহীদ রফিক সেতুর কাছ থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে।

অপহরণকারীরা মনির হোসেনকে সাভারের নামাবাজার খেয়াঘাটে আসামি লাল মিয়ার ট্রলারে হাত,পা,কোমর ও গলা বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় বংশাই নদীতে ফেলে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক নম্বর আসামি বাদশা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালদে অভিযোগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দী নেন।

নিহতের বাবা পরোশ আলী জানান, ‘এই রায়ে আমি খুশি। আজ ছেলের হত্যার প্রকৃত বিচার পেয়েছি। আর যেনো বাবা-মায়ের বুক কেউ খালি করতে না পারেন। তাই অতি দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।’

আসামীপক্ষের আইনজীবী শিপ্রা সাহা এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। সেখানে ন্যয় বিচার পাবেন।’

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বিদেশ প্রবাসী পরোশ আলীর একমাত্র পুত্র মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন একই এলাকার বাদশা মিয়া সেনাবাহীনিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাভার নিয়ে যায়। এর পর বাদশার সাথে সেখানে যোগ দেন আক্তার হোসেন জামাল ওরফে কামাল, আজগর চৌধুরী, শুকুর আলী, লাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ ও আলম। তারা সবাই মনিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :