‘এক বছর আগে মৃত ব্যক্তি ককটেল ছুড়েছেন পুলিশের ওপর’

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ২১:২৭

ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন মারা গেছেন প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু চলতি ১০ অক্টোবর পুলিশের ওপর ককটেল ছুড়ে মারার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনা। পুলিশ এখন বলছে, তদন্তের পর জসিম উদ্দিনের নাম বাদ দেওয়া হবে।

জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলাটির বাদী বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম জামাল উদ্দিন। এ মামলার ১৮ আসামির মধ্যে জসিমের নাম ১৫ নম্বরে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর সকাল সাড়ে সাতটায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নগরের বাকলিয়া থানার রাজাখালী মোড়ে নাশকতামূলক কর্মকা- করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল, ছয়টি বিভিন্ন আকারের লোহার রড, বিস্ফোরিত ককটেলের ভাঙা কাচের টুকরা উদ্ধার করা হয়। পালানোর সময় গ্রেপ্তার করা হয় হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে।

এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে।
পুলিশের করা এই মামলায় জব্দ তালিকায় থাকা দুইজন স্বাক্ষী হলেন স্থানীয় আলী আকবর ও মো. হারুন। তারা দুইজনই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করলেও পুলিশ বলছে, জব্দ তালিকায় তারা সই করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, জসিম বিএনপির কর্মী ছিলেন, কোনো পদে ছিলেন না। জসিম উদ্দিন বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

মৃত জসিম উদ্দিনকে আসামি করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অনেক আসামি পালিয়ে যান। একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের আসামি করা হয়েছে।

তদন্তের পর মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন।

ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/জেজে/ওআর