উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই: দোলন

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৩ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৭

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

আলফাডাঙ্গা তথা ফরিদপুরসহ গোটা বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলন। বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে আমরা আরও উন্নয়ন পাবো। প্রতিটা সেক্টরে আরো বেশি করে এগিয়ে যাবো।’

রবিবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে আরিফুর রহমান দোলন একথা বলেন।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী তিন উপজেলা মিলে ফরিদপুর-১ আসন। আর এই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী তরুণ রাজনীতিক দোলন এলাকায় সব মহলে বিপুল জনপ্রিয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই তিন উপজেলায় নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও চালিয়ে আসছেন।

উন্নয়নে আলফাডাঙ্গা একসময় পিছিয়ে ছিল উল্লেখ করে দোলন বলেন, ‘যেসব জায়গায় আলফাডাঙ্গা পিছিয়ে আছে, সেসব জায়গায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরো উপযুক্ত উন্নয়ন পাবো। আমরা দেশের বিভিন্ন স্তরে সামনের সারিতে আছি, অবশ্যই আরও এগিয়ে যেতে পারবো।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার কোনও বিকল্প নেই জানিয়ে দৈনিক ঢাকাটাইমসের সম্পাদক দোলন বলেন, ‘শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই, বিকল্প নেই এবং বিকল্প নেই।’

‘আলফাডাঙ্গার মাটিতে দাঁড়িয়ে আমি কথা বলছি, এই আলফাডাঙ্গার মাটি, মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি। আলফডাঙ্গার মাটি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের, চেতনার ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শিক্ষার জন্য, স্কুল শিক্ষার জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু তনয়া আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও একইভাবে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার প্রমাণ আলফাডাঙ্গা এজেড উচ্চ বিদ্যালয় সরকারী বিদ্যালয়। তার প্রমাণ আলফাডাঙ্গা কলেজ সরকারী কলেজ। তার প্রমাণ কামারপাড়া গ্রামে ৮০ কোটি টাকা ব্যায়ে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।’

আরিফুজ্জামান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী যারা রাষ্ট্রের অনেক বড় পদে দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাাদের অনেকে এখানে আছেন এবং যারা এখান থেকে সদ্য বিদায়ী হয়েছেন, তারা তাদের মেধা ও মনন দিয়ে আরো বেশি করে এগিয়ে যাবেন, দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।’

‘সুশিক্ষার লক্ষণ এই যে, তাহা মানুষকে অভিভূত করেনা, তাহা মানুষকে মুক্তি দান করে’- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাণী উদ্ধৃত করে দোলন বলেন, ‘শৈশব থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিদ্যা অর্জনের সময়। তবে শৈশবের শিক্ষাই প্রকৃত মানুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার ভিত তৈরি করে। এক্ষেত্রে পরিবারের পর সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে বিদ্যালয়।’

আরিফুজ্জামান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজের শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘এই সেই বিদ্যালয়, যে বিদ্যালয়ে আমি পাঁচটি বছর লেখাপড়া করেছি। নিজেকে অত্যন্ত গর্বিত মনে করছি যে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছি, সেই বিদ্যালয়ের সেই বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে কথা বলতে পেরে ধন্য মনে করছি।’

এই বিদ্যালয়ের যে কোনও উন্নয়নে এবং আলফাডাঙ্গার উন্নয়নে কাজ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবেন বলেও জানান দোলন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়া সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার বিশেষ অতিথি ছিলেন।

অন্যদের মধ্যে শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব শেখ শহিদুল ইসলাম ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সোলায়মান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/ডিএম