টাস্কফোর্সের ওপর হামলায় ৯৫ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় জেলা ট্রাস্ক ফোর্সের ওপর রাজরাজেশ্বর এলাকায় ইলিশ মজুদকারী ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর সরকারসহ প্রায় তিন শতাধিক জেলের হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এই দুই মামলায় ৯৫ জন জেলেকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাত ৯টায় ও রবিবার দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ দুটি মামলা করেন।
মামলায় রাজেরাজেস্বর ইউনিয়নের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮০ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে পৃথক এ দুটি মামলা করা হয়।
আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম সরকার ইউপি সদস্য, শাহজালাল বন্দুকসী, হাসান আলী দেওয়ান, ইকবাল বেপারী, মকবুল প্রধানিয়া, তাজল দেওয়ান, শফি দেওয়ান, সিদ্দিক বেপারী, পারভেজ বেপারী-রনি, ময়না বেগম, ফয়সাল বেপারী, কালা কোড়ালী, আব্দুল আলীম সরকার, ইসমাইল গাজী ও রফিক দেওয়ান। এরা সবাই রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জব্দ ১ হাজার মণ ইলিশের মধ্যে চার মণ ইলিশ চাঁদপুরে আনা হয়। রাত হয়ে যাওয়ার কারণে বাকি মাছ স্থানীয় চেয়ামর্যান, ইউপি সদস্যসহ অন্যান্যের জিম্মায় রাখা হয়। শুক্রবার গভীর রাতে শত-শত জেলে একত্রিত হয়ে জব্দ প্রায় ৬শ মণ মা ইলিশগুলো লুট করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা টাস্কফোর্সের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় চার টন ইলিশ উদ্ধার করেছে বলে এ ডি এম আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ জামান জানান।
এদিকে আলোচিত এই মামলটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ বড়ুয়াকে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন রাজরাজেশ^র ইউনিয়নের ল¹ীমারার চরে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর প্রধানিয়ার বাড়ীতে মা ইলিশ মওজুদ রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ইলিশগুলো উদ্ধার করতে গেলে জেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে টাস্কফোর্সের সদস্যদের উপরে লগির্গ, বৈঠাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৪০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। ঘটনার সময় ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)