মইনুলকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
মইনুল হোসেন

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাধারণ বন্দি হিসেবে থাকা মইনুল হোসেনকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেয়ার নির্দেশ এসেছে।

সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাকে ডিভিশন দেয়ার এই আদেশ দেয়।

আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। 

শুনানিতে বলা হয়, মইনুল হোসেন একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। তাছাড়া তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রি মর্যাদায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। কাজেই তিনি কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য।

রবিবার শুনানিতে কামাল হোসেন বলেন, ‘মইনুল হোসেনের জন্য কেন ডিভিশন চেয়ে আবদেন করতে হবে? রাষ্ট্র নিজে থেকেই তো ডিভিশন দেবে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য। বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে আজ মানিক মিয়ার ছেলেকে ডিভিশনের জন্য আবেদন করতে হচ্ছে।’

এই আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সরাসরি বিরোধিতা করা হয়নি। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিচারিক হাকিম আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। সরাসরি হাইকোর্টে আসার সুযোগ নেই। এছাড়া হাকিম আদালতের কোনো আদেশের কপি এখানে নেই। তাই এটা অসম্পূর্ণ আবেদন।’

গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ্য করে ‘চরিত্রহীন’ বলেন মইনুল। আর এর প্রতিক্রিয়ায় করা মামলায় ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

পরদিন ঐক্যফ্রন্ট নেতাকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম।

সেদিন বিকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় মইনুল হোসেনকে। সেদিন আদালত থেকে মইনুলকে ডিভিশন দেয়ার কোনো আদেশ না আসায় তাকে মেঝেতে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই রাখা হয়।

‘আমদানি ওয়ার্ড’ নামে পরিচিত ওই ওয়ার্ডে মইনুলের সঙ্গে বন্দি আছেন আরও ৪০ জন; সেখানে কোনো খাট বা চেয়ারের ব্যবস্থা নেই।

কোনো বন্দিকে আনার পরপরই ‘আমদানি ওয়ার্ডে’ নেওয়া হয়। এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার স্থান ঠিক হয়।

মইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রংপুরে করা একটি মামলায়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবুও বলেছেন, ‘এই মামলার নথি যেহেতু রংপুরে, জামিনের আবেদন রংপুরেই করতে হবে।’

তবে রংপুরে ঐক্যফ্রন্ট নেতার পক্ষে এখনও জামিন শুনানি হয়নি। তিনি আবেদন করেছেন কি না, সেই তথ্যও আসেনি গণমাধ্যমে।

(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/এমএবি)