মতিঝিলে লতিফ হত্যা

দুই ছিনতাইকারীর মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:২৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ছিনতাইয়ের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছিনতাইকারী আব্দুল লতিফকে হত্যার দায়ে তার সহযোগী মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো. বাবু ওরফে কানা বাবুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর চার সহযোগী আকির হোসেন, মো. মনির হোসেন, আমির হোসেন ও আব্দুল আজিজ ওরফে আজির পেয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড।

বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার রাজধানীর মতিঝিলের লতিফ হত্যা মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক।

রায়ে মামলার প্রধান আসামি ফেরদৌস ওরফে ফেদু, মো. রাশেদ ও সুমনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে যতো দ্রæত সম্ভব সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করতে ডিএমপির কমিশনার এবং মতিঝিল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রায়ে মামলার প্রধান আসামি ফেরদৌস ওরফে ফেদুর বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে অব্যাহতি  দেওয়ায় মামলার চার্জশিট দাখিলকারী এসআই মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

২০০৫ সালের ২৩ মার্চ তৎকালীন মতিঝিল থানার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির এ/৫০ নম্বর ভবনের  ৪র্থতলার ছাদে অজ্ঞাতনামা পুরুষের গলা ও পায়ের রগকাটা পচা-গলা লাশ উদ্ধার করে একই থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলাটির তদন্তকালে দণ্ডিতদের মধ্যে চার জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছিনতাইয়ের ৭০ হাজার টাকা নিহত লতিফের কাছে ছিল। ওই টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিহত ও দণ্ডিতদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে অব্যাহতি পাওয়া ফেরদৌস ওরফে ফেদু, আসামি মোয়াজ্জেম ও বাবু চাপাতি দিয়ে লতিফকে জবাই করেন। জবাই করার সময় রাশেদ, সুমন ও আজি হাত-পা ধরে রাখেন।

তদন্তের পর ২০০৭ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছরের ১২ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন। মামলটির বিচারকালে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/ জেডআর/এআর)