হোলি আর্টিজান মামলা

পলাতকদের আত্মসমর্পণের বিজ্ঞপ্তি উপস্থাপন ১৪ নভেম্বর

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৫৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার পলাতক আসামি মো. মামুনুর রশিদ ও মো. শরিফুল ইসলামকে আত্মসমর্পণ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা উপস্থাপনের দিন পিছিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার পত্রিকা উপস্থাপনের দিন ধার্য থাকলেও তা না হওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

গত ৮ আগস্ট চার্জশিট আমলে নিয়ে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির সিএমএম আদালতে আট জনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

কারাগারে থাকা চার্জশিটভুক্ত অপর ছয় জন আসামি হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, হামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী এবং হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ।

চার্জশিটটি ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (সংশোধনী ২০০৩) ৬(২)/৭/৮/৯/১০/১২/১৩ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদÐের বিধান রয়েছে।

কারাগারে থাকা আসামিদের মধ্যে বড় মিজান, সাগর, র‌্যাশ ও রিগ্যান হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। যৌথ বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে হামলায় সরাসরি অংশ নেয়া ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হন।

(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/জেডআর/এআর)