যশোর এখন বছর জুড়েই ফুলের নগরী

আব্দার রহমান, যশোর
| আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৭ | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩৭

বছর জুড়েই এখন ফুল চাষ হচ্ছে যশোরের উপজেলাগুলোতে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যে ৫২ জেলায় যাচ্ছে এখানকার উৎপাদিত ফুল। দেশের গ-ি পেরিয়ে এখন রপ্তানি শুরু হয়েছে বিদেশেও। এখানকার ফুল চাষিরা বলছেন, ফুল রপ্তানির জন্য সরকার আলাদা নীতিমালা করলে বিদেশে ফুল রপ্তানি আরও বাড়বে।

যশোর শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী এলাকায় ১৯৮২ সালে শুরু হয় বাণিজ্যিক ফুল চাষ। দিনদিন বাড়ে ফুল চাষ। এক পর্যায়ে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য উপজেলাগুলোতেও। এখন যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা, কেশবপুর, মনিরামপুর, চৌগাছায় উৎপাদিত হচ্ছে নানান জাতের ফুল। আগে কয়েক মাসে ফুল চাষ হলেও এখন সারা বছরই হচ্ছে ফুলের উৎপাদন।

এখানকার উৎপাদিত ফুল দেশের সত্তর থেকে পচাত্তর ভাগ চাহিদা পূরণ করে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির দেওয়া তথ্যমতে, যশোরে শুধু ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলচাষ হচ্ছে। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ জড়িত। এর মধ্যে নারী রয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক।

আর যশোর জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর ১২০ কোটি পিস ফুল উৎপাদন হয় এ জেলায়।

ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম জানান, গদখালীতে উৎপাদিত রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা ফুল আর্ন্তজাতিক মানের। গ্লাডিওলাস ও রজনীগন্ধার মান ভারতের চেয়েও উন্নত। এখানকার জারবেরার মান চায়নার চেয়ে ভালো। সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ আরও বেশকিছু দেশে এসব ফুল রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।

এখন সবজি ও পানের সঙ্গে অল্পকিছু ফুল রপ্তানি করা হয়। প্রতিবছর গদখালীতে চাষিরা নতুন নতুন জাতের ফুল চাষ করছেন। এ বছর প্রথমবারের মতো গদখালীতে বিশেষ ধরণের গোলাপ লং স্টিক রোজ চাষ শুরু হচ্ছে। এ কাজটি করছেন গদখালী এলাকার ইমামুল হোসেন। ভারতের পুনে থেকে চারা এনে ৪০ শতক জমিতে এর চাষ শুরু করেছেন তিনি।

গদখালীতে উৎপাদিত রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা ফুল আন্তর্জাতিক মানের। গ্লাডিওলাস ও রজনীগন্ধার মান ভারতের চেয়ে উন্নত। এখানকার জারবেরার মান চায়নার চেয়ে ভালো বলে দাবি করেন ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম।

তিনি বলেন, সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ আরো বেশকিছু দেশে এখন সবজি ও পানের সঙ্গে অল্পকিছু ফুল রপ্তানি করা হয়। শুধু ফুল রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার যদি আলাদা নীতিমালা করে, তাহলে ফুল রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

এ জন্য যেসব দেশে ফুলের চাহিদা রয়েছে, সেসব দেশের বাজারের সঙ্গে ফুল চাষিদের সংযোগ করিয়ে দিতে হবে। এ জন্য দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আর ফুল রপ্তানির বিষয়ে আলাদা নীতিমালা করা হলে এ বিষয়গুলোর সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে বলে মত দেন তিনি। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন আরেক ফুল চাষি নূর ইসলাম ও শের আলী।

ঢাকাটাইমস/০১নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :