নরসিংদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কলেজছাত্রীর মৃত্যু

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৪৭

নরসিংদীর রায়পুরায় পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের একটি চলমান লাইনের স্পর্শে মনিরা বেগম নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়নের আদিয়াবাদ পিবিনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত মনিরা বেগম আদিয়াবাদ পিবিনগর এলাকার সাত্তার মিয়ার মেয়ে ও নরসিংদী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয়রা জানায়, আদিয়াবাদ পিবিনগর এলাকার বিদ্যুৎ লাইনটি নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সদর (বিলাসদী) জোনাল অফিসের আওতাধীন। এই এলাকা দিয়ে পূর্বে ১১ হাজার ভোল্টেজেরও একটি বিদ্যুৎ লাইন ছিল। পরবর্তীতে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের নতুন সঞ্চালন লাইন গেলে আগের লাইনটি অকেজো হয়ে পড়ে।

এদিকে সম্প্রতি ৩৩ হাজার ভোল্টেজের লাইনটির বৈদ্যুতিক তার অনেকটা নিচে নেমে গেছে। যা বিভিন্ন অজুহাতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংস্কার না করায় বিপজ্জনক হয়ে আছে। এদিকে আগের ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইনটি অকেজো হওয়ায় অসাবধানতাবশত সকালে কলেজছাত্রী মনিরা বেগম কাচা লাকড়ি (ধইনচা) নিয়ে যাওয়ার সময় ওই তারে লেগে যায়। অকেজো তারটি হঠাৎ ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে লেগে যায়। এসময় অকেজো লাইনের তার বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মনিরা বেগম মারা যায়। নিহতের বাবা সাত্তার মিয়া ডৌকারচর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের চাকরি করেন।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সদর জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপকের (ডিজিএম) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা সাহিনুর আক্তার (এজিএম) বলেন, ‘৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনটি দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় অনেকটা নিচে নেমে গেছে। সেটির সংস্কারে কাজ চলছে। স্থানীয় লোকজনকে অনেক নিষেধ করার পরও তারা ডেথ (অকেজো) লাইটিতে কাপড়চোপড় শুকাতে দেয়। তাদের অসাবধানতার কারণেই আজকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে আমাদের কোন গাফিলতি ছিল না।’

ডৌকার চর ইউপি সদস্য শামীম ভূঁইয়া বলেন, এখানে যে তারটি নিচে নেমে গেছে আমরা পল্লী বিদ্যুৎকে দরখাস্তের মাধ্যমে জানিয়েছি। কিন্তু তারা তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে আজকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার পর পল্লী বিদ্যুতের এক ইঞ্জিনিয়ার এসে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গেছেন।’

নিহতের বাবা সাত্তার মিয়া বলেন, আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমরা ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আমার মেয়েটা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে। তাই তার ময়নাতদন্ত হউক সেটা আমরা কেউ চাই না। এ ব্যাপারে আমাদের কোন অভিযোগও নেই।’

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের আপত্তিতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে আনতে পরেনি। এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগও করেনি।

(ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :