মেয়র লোকমান হত্যার আসামি মোবারক আবারো রিমান্ডে

নিহত নরসিংদী পৌর মেয়র লোকমান (বাঁয়ে), পরিকল্পনাকারী মোবারক হোসেন (ডানে)

নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোবারক হোসেন মোবাকে অস্ত্র মামলায় আবারো দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে জেলা জজ আদালতের বিচারক অনামিকা চৌধুরীর আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার বিকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার বাদী হয়ে মোবারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই তাকে আদালতে এনে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অতিরিক্ত প্রধান বিচারিক হাকিম শামীমা আক্তার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে অস্ত্র আইনের মামলায় মোবারক হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ড দেন এবং লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। দুই রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আরও বিশদ তথ্যের জন্যে শুক্রবার দুপুরে বিচারিক হাকিম অনামিকা চৌধুরীর আদালতে হাজির করে আবারো সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোবারক হোসেন ওরফে মোবা লোকমান হত্যার এক সপ্তাহ আগে থেকে মালয়েশিয়ায় পলাতক ছিলেন। লোকমান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী ওই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মোবারক। গত ২৫ অক্টোবর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে পলাতক ছিলেন। নরসিংদীতে তার মালিকানাধীন একটি জমি বিক্রি করতেই দেশে এসে আত্মগোপনে ছিলেন মোবারক। নজরদারি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলা গোয়েন্দা ৩০ অক্টোবর রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বনানীর ডিওএইচএসের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য মতে, প্রথমে ঢাকায় এবং পরে নরসিংদীতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, শহরের পশ্চিম ব্রা‏হ্মন্দী মহল্লাস্থ তার শ্বশুরের বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ওই বাসা থেকে সাত রাউন্ড গুলি ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)