ওষুধ নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতারণা
ক্যানসার, হৃদরোগ এবং আইসিইউ ও সিসিইউতে ব্যবহার হয়, এমন মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধে নতুন করে মেয়াদ দেয়ার বসানোর তথ্য পেয়েছে র্যাব। এরপর সেসব ওষুধ বিক্রি করা হতো বাজারে।
রাজধানীতে ওষুধের পাইকারি বাজার মিটফোর্ডে র্যাবের অভিযানে এই প্রতারণার তথ্য পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৬৯ ধরনের জীবন রক্ষাকারী বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ বিদেশি ওষুধ জব্দ করা হয়।
অভিযানের সময় দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ এক হাজার ৯৬২টি চোখের ড্রপের লেবেল খুলে নতুন করে লেবেল লাগানোর জন্য রাখা হয়েছে।
গতকাল রাতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, সোমবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-১০ এবং ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের ৮ সদস্যদের একটি দল এ অভিযান চালায়। চলে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।এ সময় মিটফোর্ড টাওয়ারের তৃতীয় তলায় একটি দোকানে এবং তার পাশের হাবিব মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এসব ওষুধ জব্দ করা হয়। এই ওষুধ নতুন করে মেয়াদের তারিখ বসিয়ে বাজারে ছাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। মেয়াদ বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হতো এমন ৮২ হাজার লেবেল ও প্যাকেট।
এ ঘটনায় বাপ্পী এবং অপু নামে দুই জন পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
অভিযান চালানো র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র মেয়াদোত্তীর্ণ ভারতীয় ওষুধ লাগেজ পার্টির মাধ্যমে দেশে এনে নতুন করে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লাগিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানে সরবরাহ করছে।’
ঢাকাটাইমস/০৬ নভেম্বর/এএ/ইএস