ভোলায় একই শিক্ষক চালাচ্ছেন দুই পরীক্ষা কেন্দ্র

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:০৫

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলা সদর উপজেলায় একই সাথে দুইটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করছেন ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। তিনি একটি কেন্দ্রের সচিব ও অপরটির হল সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন। একটি কেন্দ্রে তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও অপরটিতে তিনি যাননি।
কেন্দ্র দুটি হলো সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ভোলা। এ দুটি কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা  ও হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কেন্দ্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল নবম শ্রেণি বোর্ড সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হয়।
দুটি বোর্ডের পরীক্ষা চলতি মাসের  ১তারিখ থেকে একযোগে শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী একটি পরীক্ষা ছাড়া বাকি সবগুলো পরীক্ষা একই তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে গত ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জেএসসি ও ভোকেশনালের ৫টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ইসমাইল এই পাঁচ দিনেই ব্যাংকের হাট কেন্দ্রে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু হীড টেকনিকেল সেন্টার কেন্দ্রে একদিনও আসেননি।
হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের সুপার ও কেন্দ্রের সচিব সেলিম হোসেন নিজের মতো করে পরীক্ষা পরিচালনা করছেন।
হীড কেটনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের সুপার সেলিম হোসেন বলেন, এ কেন্দ্রে ৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৯২ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল নবম সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পাঁচ প্রতিষ্ঠান প্রধানের সম্মতিতে ব্যাংকের হাট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হল সুপার করা হয়েছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই।  তিনি আসতে পারে না বিধায় আমি পরীক্ষা পরিচালনা করছি।
এ ব্যাপারে ইসমাইল হোসেন জানান, আমাকে না জানিয়ে হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কেন্দ্রের হল সুপার বানানো হয়েছে। আমি একদিনেও ওই কেন্দ্রে যাইনি। শুধু আমার একজন ছাত্রের সমস্যার কারণে একদিন গিয়েও চলে এসেছি।
 এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি এতোদিন আমাদের জানা ছিল না। একই শিক্ষক এক সাথে দুটি কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। আমরা আলাদা আলাদা করে কেন্দ্রের তালিকা করে দিয়েছি। আমি বিষয়টি দেখছি। সামনের পরীক্ষাগুলোতে এক জন ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক সেখানে থাকবেন।’
ঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর