জামালপুরের নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ ঢাকায় উদ্ধার

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৮, ২২:০০

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ব্যবসায়ী কাজে ঢাকায় গিয়ে লাশ হলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সুমন খান। তিনি ৫ নভেম্বর ভোরে ব্যবসায়ী কাজের জন্য দেওয়ানগঞ্জের বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পাঁচ দিন পর শুক্রবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও থানা এলাকা অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। পরে ফেসবুকে লাশের ছবি দেখেন ৯৯৯ এ ফোন করে সুমনকে শনাক্ত করে স্বজনরা।

নিহতের পরিবার বলছে, জেলার দেওয়ানগঞ্জ বাজারের তৈরি পোশাক ও কাপড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুমন বস্ত্রালয়ের মালিক সুমন খান তার দোকানের কাপড় কেনার জন্য গত সোমবার ভোর চারটায় ঢাকার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। পরদিন মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সর্বশেষ তার পরিবারের সাথে কথা হয় সুমনের। তখন তিনি টঙ্গীতে আছেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তার বাবা আব্দুল খালেক খান বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও প্রিন্টের জিন্স শার্ট।

নিহত সুমন খানের প্রতিবেশী বন্ধু মনজুরুল হক বাবু জানান, তিনিসহ সুমনের কয়েকজন স্বজন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একটি ফেসবুক আইডিতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ছবিসহ লাশের পোস্ট দেখেন। ওই ছবি দেখে লাশটি সুমন খানের কিনা তা জানার জন্য তারা দেওয়ানগঞ্জ থেকে দ্রুত পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার খিলগাঁও থানার ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে খিলগাঁও থানায় ফোন করা হলে থানা থেকে একটি ইমো আইডিতে ওই মৃত ব্যক্তির ছবি, পরনের পোশাক ও হাতের বেসলেটের ছবিসহ বেশ কয়েকটি ছবি পাঠিয়ে দেয়। একই সাথে ওই লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। ওই ছবিগুলো দেখে তারা নিশ্চিত হন যে ওই লাশটি সুমন খানের।

মনজুরুল হক বাবু আরো জানান, খিলগাঁও থানা থেকে পাঠানো ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর সুমন খানের দেওয়ানগঞ্জের বাসায় তার স্ত্রী পারুল আক্তার ও অন্যান্য স্বজনদের মাঝে শোকের মাতম শুরু হয়। সুমনের দুই ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে। শনিবার দুপুরে নিহত সুমন খানের সহোদর শ্যামল ও পিন্টু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে বিকাল চারটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে শোকার্ত দুই ভাই সুমন খানের লাশ নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশে রওনা হন। দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে বলেও নিহতের স্বজনরা ধারণা করছেন।

দেওয়ানগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মমতাজ উদ্দিন বলেন, সুমন খানের বাবার করা সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে আমরা চেষ্টা করেছি তাকে খুঁজে বের করতে। কিন্তু শুক্রবার রাতে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে সুমনের লাশ খিলগাঁও থানা এলাকায় পাওয়া গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দেওয়ানগঞ্জে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় মামলা করবে বলে জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)