দুশ্চিন্তায় ১০০ মন্ত্রী-এমপি!

প্রকাশ | ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৪ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
মনোনয়ন ফরম কিনতে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির নতুন কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভীড়

দুশ্চিন্তায় আছেন সরকারের প্রায় ১০০ মন্ত্রী ও এমপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এটাই তাদের দুশ্চিন্তার কারণ।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিতর্কিত কাউকে এবার আর দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার বিভিন্ন সভায় একথা বলেছেন। এবার আর তিনি কাউকে পার করে আনতে পারবেন না, কঠোর এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য ঢাকা টাইমসকে বলেন, অনেক মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন অনেক মন্ত্রী-এমপি। তাদের টেন্ডার-বাণিজ্য, নিয়োগ-বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দের নয়ছয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য কেন্দ্রের কাছে আছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার জরিপেও তাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য উঠে এসেছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে এবার অনেক মন্ত্রী ও এমপি মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, বাদ পড়তে পারেন এমন তালিকায় উত্তরবঙ্গের দুজন রয়েছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকম-লীতে আছেন, এমন নেতার নামও বাদ পড়াদের তালিকায় আছে। মনোনয়নের দৌড়ে যারা পিছিয়ে আছেন, এমন একাধিক মন্ত্রী-এমপিকে কেন্দ্র থেকে বারবার সতর্কও করা হয়েছে। তারা যে মনোনয়ন পাবেন না, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা।

মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য জানান, চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণার সময় কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ কেন্দ্রে জমা পড়েছে, সে তালিকাও দলের শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনার হাতে থাকবে। এগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে ধরে নিয়েই দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই তৃণমূলে যাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে, যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, তারা মনোনয়ন পাবেন না।’