ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটেরহদ গ্রামের মোস্তফা কামাল হত্যা মামলার দুই আসামি পিতা তাহের ও তার পুত্র সোহাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।

এ মামলার অপর তিন আসামি হারুন, কাশেম ও আবুল খায়েরকে পাঁচ বছর করে কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।

হত্যার শিকার মোস্তফা কামাল ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান ছিলেন।

পাঁচ বছর কারাদ-প্রাপ্ত আসামি একই এলাকার হারুনুর রশিদ মৃত জামাল হকের ছেলে, মো. আবুল কাশেম ও আবুল খায়ের লুৎফুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জমি নিয়ে বিরোধে আসামিরা মোস্তফা কামালকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৪ অক্টোবর ভোরে তিনি মারা যান।

এই ঘটনায় ওইদিন নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ১১ জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর আমান উল্যাহ জানান, দীর্ঘদিন মামলাটি চলমান অবস্থায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। আসামিদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত এ রায় দিয়েছে।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ অভি।

ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর