‘স্মৃতি সংরক্ষণের প্রশ্নে সবাই একই কথা বলুক’

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১২:০৫ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:১৭

রুদ্র রুদ্রাক্ষ, ঢাকা টাইমস
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে স্ত্রী শাওন

প্রেমিকা, সহধর্মিণী ও পাঠক- এই তিন চরিত্রে খুব কাছ থেকে হুমায়ূন আহমেদকে দেখেছেন মেহের আফরোজ শাওন। শাওনমুগ্ধ হুমায়ূন তাকে বলতেন ‘একের ভেতরে অনন্য’। প্রয়াত কথাসাহিত্যিকের ৭১তম  জন্মদিবসে ঢাকা টাইমসের মুখোমুখি হয়েছেন নির্মাতা, গায়িকা, অভিনেত্রী তথা ‘একের ভেতর অনন্য’ মেহের আফরোজ শাওন।

লেখক-পরিচালক না প্রেমিক, কোন চরিত্রে হুমায়ূন আহমেদকে যাপন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

হুমায়ূন আহমেদ নামটাই তাকে যাপন করার জন্য যথেষ্ট। আমি এই নামটা যাপন করি কখনো প্রেমিকার মতো কখনো পাঠকের মতো। আমি হুমায়ূন আহমেদ নামটা উচ্চারণ করলে বুকের ভেতর শব্দ ও ছায়াছবি খেলা করে। আমি একজন মুগ্ধ ভক্ত এই মানুষটার।

আপনাকে তিনি কেন ‘একের ভেতর অনন্য’ বলতেন?

(হাসি) কারণ আমি মেহের আফরোজ শাওন, হুমায়ূন আহমেদের মতো একজন মহান শিল্পী আমার প্রেমে পড়েছিলেন।

তার স্মৃতি সংরক্ষণ নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে?

অবশ্যই আছে। আমি আর কয়দিন বাঁচব বলুন। তার এমন কিছু জিনিস আছে আমার কাছে, যা প্রতœতাত্ত্বিক সম্পদ। আমার সঙ্গে পরিচয়ের আগেরও অনেক জিনিস তিনি আমাকে দিয়ে গেছেন। এগুলো আমার একার সম্পদ না। লাখো হুমায়ূন ভক্তের সম্পদ। আমি  চাই হুমায়ূন আহমেদের এসব জিনিস নিয়ে একটা ‘হুমায়ূন যাদুঘর’ হোক। আর সেটি হতে হবে নুহাশ পল্লীতে তার কবরের কাছে। যে জাদুঘরে ঢুকতে কোনো প্রবেশমূল্য থাকবে না।

কোনো উদ্যোগ কি নিয়েছেন?

আমি আমার মতো করে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এখানে পরিবারের সবার সাহায্য লাগবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এটা সম্ভব না। আমি চাই শুধুমাত্র তার স্মৃতি সংরক্ষণের প্রশ্নে অন্তত সবাই একসুরে কথা বলুক।

‘কৃষ্ণ পক্ষ’ দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের গল্প পর্দায় এনেছেন, আর কোনো গল্প কি পর্দায় আনার ইচ্ছে আছে?

অবশ্যই আছে। অন্তত ১০টা গল্প নিয়ে সিনেমা বানানোর প্ল্যান আছে। আর আমার কাছে তার নিজের করে দেওয়া চিত্রনাট্যও আছে। তিনটি গল্পের চিত্রনাট্য সে আমাকে করে দিয়ে গেছেন। এগুলো আমাকে বানাতেই হবে।

হুমায়ূন আহমেদকে কীভাবে মূল্যায়ণ করতেন?

একটা সমুদ্র। যে সমুদ্র বাংলাদেশের শিল্পে আবহমানকাল ধরে স্রোতের স্বাক্ষর রেখে ছুটে চলবে, চলছে।