ময়মনসিংহে শিশু শিমু ‘হত্যাকারী’ গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ২৩:০৫

ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ছয় বছরের শিশু ফারজানা আক্তারকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ঘাতকচক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শফিক পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ আবিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন।

এসপি বলেন, ভালুকার পাঁচগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের শিশু কন্যা ফারজানা গত ৯ নভেম্বর সকালে পার্শ্ববর্তী জনৈক মন্তর বিয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যায়। দুপুর পর্যন্ত ওই শিশু বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে মা বিয়ে বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সন্ধান এবং মাইকিং করে। রাত নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী সামাদের বাঁশঝাড়ে বাঁশের সাথে গলায় ছেঁড়া লুঙ্গি দিয়ে পেচানো অবস্থায় ফারজানা আক্তারের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

ঘাতক শফিকের বরাত দিয়ে এসপি বলেন, আটক শফিক পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নিহত ফারজানার পিতার সাথে তার আপন ভাই শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিনারার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল বলে শফিক জানায়। এছাড়া শফিক (আটক) তাকে মোবাইল চুরির ঘটনায় চোর সাব্যস্ত করে ফারজানার পিতা। এ বিরোধের জের ধরে ফারজানার চাচা শফিকুল ইসলাম, স্ত্রী মিনারা এবং মোবাইল চোর শফিক (আটক) কৌশলে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘাতকচক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মিনারা পুলিশের জালের ভেতরেই রয়েছে। যে কোন সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। অতি সত্বর ঘাতক চাচা শফিকুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে তিনি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর অনলাইনে এবং ১১ নভেম্বর প্রিন্ট ভার্সনে ঢাকাটাইমসে ময়মনসিংহে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/এমডি/এলএ)