ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। অ-সংক্রামিত এই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি এটি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরামর্শসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যেমে দিবসটি পালিত হয়েছে। 

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) ও পদ্মা টেক্সটাইলের সঙ্গে দেশব্যাপী সচেতনতামূলক কাজের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস নিয়ে কাজ করা ইনসুলিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্ক। কারণ বিপদ জনক হাওে দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। 

ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) এর তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ৫৭ ভাগ ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ জানেনই না তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। আইডিএফ এর তথ্যানুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬৯ লাখ আর ২০৪৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ১ কোটি ৩৭ লাখে পৌঁছাবে।

সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশে ১৫০টি র‌্যালী আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনেও একটি বড় র‌্যালি আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেন, চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী, শিশু ও নানা পেশার মানুষ। আইডিএফ এর তথ্যানুযায়ী দেশে ১৭ হাজার ৫৭ জন শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। 

এছাড়া, দেশব্যপী প্রায় এক লক্ষ মানুষের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সাথেও অংশীদার হয়েছে নভো নরডিস্ক। দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেমন, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয়, হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেন ‘ডায়বেটিস সম্পর্কে আসল সত্য হচ্ছে ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা একদমই ব্যয়বহুল নয়, কিন্তু ডায়বেটিস এর চিকিৎসা না করানো ভবিষ্যতের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে সামনে  আসবে’।

এছাড়া শিশুদের ডায়াবেটিস প্রতিবন্ধকতা ও আমাদের দায়বদ্ধতা বিষয়ে বাডাস, নভো নরডিস্ক ও সমকাল একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছে। 

নভো নরডিস্কেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনান্দ শেঠি বলেন, ‘যারা এখনো ডায়াবেটিসের চিকিৎসার আওতায় আসেনি, তাদের জন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা আমাদেও নৈতিক দায়িত্ব। এখনি উপযুক্ত সময় ডায়াবেটিসের নির্দয়তা নিয়ে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমার সেদিন খুশি হবো যেদিন সব ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসার আওতায় আসবে এবং সঠিক ঔষধ গ্রহণ করবে।”

বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রাপ পিটারসন বলেন, ‘সরকারকে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জন করতে হলে, দেশ ও সমাজের উপর থেকে ডায়াবেটিসের বোঝা কমাতে গুরুত্বসহকারে কাজ করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/এজেড)