সাবেক প্রেমিকের তিরে নিহত প্রসূতি, বেঁচে গেল শিশু

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

লন্ডনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর পেটে তির গেঁথে দিল আততায়ী। সন্তানসম্ভবা ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে বাঁচানো গেছে তার গর্ভস্থ শিশুটিকে। শিশুটিকে নিরাপদে বের করে আনেন চিকিৎসকরা। হামলাকারী ওই নারীর পূর্বপরিচিত। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার জানায়, নিহত ওই নারীর নাম দেবী উন্মাথালেগাড্ডু। বয়স ৩৫ বছর। সাত বছর আগে ইমতিয়াজ মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন। দেবী পরে নাম পাল্টে সানা মোহাম্মদ হন। দুই ও পাঁচ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। তৃতীয়বার মা হতে যাচ্ছিলেন সানা। এ ছাড়াও আগের পক্ষের তিন সন্তান ছিল তার। সবাইকে নিয়ে লন্ডনের ইলফোর্ডে থাকতেন।

সোমবার সকালে বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন সানা। বাড়িতে ছিলেন ইমতিয়াজও। সামনের লনে তিনিই প্রথম আততায়ীকে লক্ষ্য করেন। সানার দিকে তির-ধনুক তাক করেছিল সে। চেঁচিয়ে স্ত্রীকে সতর্কও করেন ইমতিয়াজ। কিন্তু ততক্ষণে সানার শরীরে তির গেঁথে গিয়েছে। তলপেট ফুঁড়ে তির আটকে যায় হৃৎপিণ্ডে। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে বেলা ১১টা নাগাদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে অস্ত্রোপচার করে নিরাপদে শিশুটিকে বের করে আনতে সক্ষম হন তারা।

সদ্যজাত পুত্রসন্তানের নাম ইব্রাহিম রেখেছেন ইমতিয়াজ। তিনি জানিয়েছেন, ‘সানার মতো ভালো মানুষ হয় না। মা ও সন্তান হিসেবে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ছিল। গত সাত বছর ধরে একসঙ্গে ছিলাম আমরা। কখনও আলাদা হইনি। বাকি জীবনটা কীভাবে কাটাব জানি না। সন্তান প্রসবে মাত্র চার সপ্তাহ বাকি ছিল। তার আগেই এই হামলা। তলপেট ফুঁড়ে হৃৎপিণ্ডে আটকে যায় তিরটি। তবে আমার সন্তানকে ছুঁতে পারেনি। তাও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকরা। বুকে তির গাঁথা অবস্থাতেই স্ত্রীর পেট থেকে ছেলেকে বের করে আনেন।’

হামলাকারীকে ৫০ বছর বয়সী রমণোদ্গে উন্মাথালেগাড্ডু বলে শনাক্ত করা গেছে। সানার পরিচিত ছিল সে। একসময় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। তাকে গ্রেপ্তার করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ। মঙ্গলবার বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হলে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/এসআই)