নয়াপল্টনের ঘটনায় তিন মামলা, গ্রেপ্তার ৫০

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৫ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গাড়িতে আগুন (ফাইল ছবি)

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর হামলা ও  পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে বুধবার পল্টন থানায় এসব মামলা করা হয়।  এ পর্যন্ত মামলায় অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুরো ঘটনাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। আর পুলিশ বলছে ইস্যু তৈরি করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

পল্টন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান মামলা ও গ্রেপ্তারের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য পুলিশ মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির নেতা আখতারুজ্জামান ও নবীউল্লাহকে দায়ী করেছেন।

পুলিশের এ অভিযোগ অস্বীকার করে মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘এটা সরকার বা আওয়ামী লীগের সাবোটাজ হতে পারে।’

আর পুরো ঘটনাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে বিনা উসকানিতে তার দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম  বলেছেন,  বিনা উসকানিতে কেবল ইস্যু তৈরির জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের  সংঘর্ষের ঘটনাকে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপির পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে দাবি করেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকেই উপচে পড়া ভিড় ছিল নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় এলাকায়। ঢাক, ঢোলের বাদ্য আর মিছিল নিয়ে গত তিনদিন ধরে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন সারাদেশের প্রার্থীরা। একসময়  জনতার ভিড়ে নয়াপল্টনের  সামনের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।  

বুধবার দুপুরে পুলিশের রাস্তা ফাঁকা করে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় অনেক গাড়ি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রচুর কাঁদানে গ্যাসের  শেল ও গুলি ছোড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দেড় ঘণ্টার সংঘর্ষে ২৩ পুলিশ সদস্য এবং অর্ধশতাধিক বিএনপি  নেতা-কর্মী আহত হন।

ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/ওআর