‘আগুন সন্ত্রাস’ আবার শুরু হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ২০১৩ সালের মতো আবার ‘আগুন সন্ত্রাস আবার শুরু হয়েছে’।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

আগের দিন বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় একাধিক গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। আর এই ছবি প্রকাশের পর পুলিশ তার পরিচয় জানতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর তার পরিচয়ও জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

ঘটনার পর পর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা গাড়ি পুড়িয়েছে। তবে পুলিশ জানায়, এই যুবক শাহজালাল খন্দকার। তিনি পল্টন ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জনগণ যখন উৎসবমুখর হয় তখনতো বিএনপির খুব খারাপ লাগে। তারা সেই উৎসবে পানি ঢালে। সেটাই আমরা দেখলাম। কোনো কথা নেই, বার্তা নেই। সেখানে বিএনপির এক নেতা তার মিছিল নিয়ে এল। যেটা মিছিল নিয়ে আসার কথা না। তারপরও নিয়ে এসে সেখানে মারপিটে অনেকগুলো পুলিশ আহত। তিনটা গাড়িও পোড়াল।’

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে ২০১৩ সালের শেষে এবং দশম সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের বিষয়টিও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

‘২০১৪ সালে তারা যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, আবার ঠিক সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করল। মানে অগ্নিসন্ত্রাস ছাড়া, মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ানো ছাড়া বিএনপি কোনো কাজ করতে পারে না- এটাই প্রমাণ।’

বিএনপি ভোট বানচালের চেষ্টা না করবে না বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি তাদেরকে বলব, নির্বাচনে যেহেতু আসবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেটাই চেষ্টা করা। অন্তত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা যেন তারা না করে।’

এই চেষ্টা করলে লাভ হবে না বলেও জানিয়ে দেন সরকার প্রধান। বলেন, ‘নির্বাচনে সব দল আসার ঘোষণায় দেশে যখন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তখনই নয়াপল্টনের ওই ঘটনা ঘটল। এই চেষ্টা তারা ২০১৪ তে করেছে, সফল হতে পারেনি। আগামীতেও পারবে না। কারণ জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণ চায়, একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক। যে নির্বাচনে তারা ভোট দিয়ে তাদের মন মত সরকার গঠন করবে।’

ভোট সুষ্ঠু হবে বলেও নিশ্চয়তা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যখন বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ একটা আনন্দমুখর পরিবেশে, সবাই খুশি, নির্বাচন করবে, নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে, তাদের মনমত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করবে।’

ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি