বগুড়ায় কলেজছাত্র হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৪
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নাইম ইসলাম নামে এক কলেজছাত্রকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত নাইম বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মরিয়া গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইন্তেজার রহমানের একমাত্র পুত্র। এ ঘটনায় সারিয়াকান্দি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বগুড়া জেলা শহরের বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র নাইম ইসলামকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তার চার সহপাঠী ফোন করে ডেকে নেয়। এরপর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার ভোরে সারিয়াকান্দি শহরে কালী মন্দিরের দক্ষিণ পাশ থেকে পুলিশ বিকৃত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু লাশটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ায় চেনা যাচ্ছিল না। নিহত নাইমের মা ছেলের পায়ের বিশেষ চিহ্ন দেখে শনাক্ত করেন।
শুক্রবার ভোরে থানার প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশ নিহত নাইমের তিন সহপাঠীকে আটক করেছে। নিহত নাইমের মায়ের দেয়া তথ্যে পুলিশ খুনের জন্য তার সহপাঠীদেরকেই সন্দেহ করছেন।
আটক হলেন- গাবতলীর গুলারতাইড় গ্রামের মনির, ধুনটের চিকাশী গ্রামের অন্তর এবং সারিয়াকান্দির সোনাপুর গ্রামের বাবু। সাব্বির নামে তাদের আরেক বন্ধু এই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরা সবাই ‘বিট’-এর ছাত্র বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সারিয়াকান্দি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম অনন্ত শ্রাবণ বিশুকে আটক করে।
সারিয়াকান্দি থানার সাব-ইন্সপেক্টর খায়ের উদ্দিন জানান, গলাকেটে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে বিকৃত করা হয়েছে। আটক তিনজন নাইমকে হত্যার পর বৃহস্পতিবার রাতে জিডি করার জন্য থানায় গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
এদিকে নিহত নাইমের মা জানান, কয়েকদিন পূর্বে তারা ছেলেকে একটি এ্যাপাচি মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছেন। এই মোটরসাইকেল নিয়েই বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এখনো মোটরসাইকেলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মোটরসাইকেলের জন্যই বন্ধুরা নাইমকে হত্যা করতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।
সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) তাপস কুমার পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, এ হত্যায় এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। তবে, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)