নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা : ইসি শাহাদাত

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৮ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চায়। নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো রকমের প্রশ্ন উঠলে নির্বাচন কমিশন আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।’

শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআিই) এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার ও ইএমএস, সিআইএমএস  এবং আরএমএস সফটও্য়্যার বিষয়ে ধারণা দিতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এসময় প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে কমিশনার শাহাদাত বলেন, ‘আমরা চাই, যারাই নির্বাচনে আসুক আপনারা প্রত্যেকে দল-মত নির্বিশেষে আপনারা আপনাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো রকমের প্রশ্ন উঠলে নির্বাচন কমিশন আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।’

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করছেন, তাদেরকে সবসময় আমরা বলে থাকি, আপনারা হলেন কমিশনের অঙ্গপ্রতঙ্গ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন চায় একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সকলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন নির্বাচন তাই করবে বলেও জানান তিনি। বলেন,  ‘এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । নিবন্ধিত দলের বাইরে অনেক অনিবন্ধিত দল জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে। সব দল অংশ নেওয়ায় কমিশন আনন্দিত।’

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’ উল্লেখ করে শাহাদত হোসেন বলেন, “এদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য।

“একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশিত একটি সরকার গঠিত হতে পারে, যারা এ দেশটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”

প্রতিটি কর্মকাণ্ড আইনানুগভাবে পরিচালনা করে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেন এই নির্বাচন কমিশনার।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।

কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/জেআর/ওআর)