ডিসেম্বরকে ভয় বলেই ভোট পেছানোর দাবি: নাসিম

ফাইল ছবি

বিএনপি-জামায়াত জোট ডিসেম্বর মাসকে ভয় পায়, এজন্য এই মাসে ভোটগ্রহণের তারিখ হওয়ায় তারা নাখোশ-এমন মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ৩০ ডিসেম্বরেই ভোটগ্রহণের জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  

শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।
ডিসেম্বর বিজয়ের মাস উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে কোনো সময়ই মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী দল পরাজিত হয়নি। জাতির জনকের নেতৃত্বে এ মাসেই আমরা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিলাম। ডিসেম্বর মাস এলেই কী কারণে যেন বিএনপি-জামায়াত জোট ভয় পায়। তাদের একাত্তরের সেই পরাজয়ের কথা মনে হয়। এই কারণেই ডিসেম্বর মাস এলে তারা আতঙ্কিত হয়।’

নাসিম বলেন, ‘এজন্য আমরা দেখলাম নির্বাচন কমিশন যখন তফসিল ঘোষণা করল ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে একাধিকবার জানিয়েছে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য। নির্বাচন কমিশন তাদের অনুরোধ থেকে তারিখ পরিবর্তন করল। এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কিংবা ১৪ দল কেউ কোনো আপত্তি করেনি। আমরা বললাম ঠিক আছে, তাদের সুযোগ দেওয়া হোক। এরপরও দেখলাম তারা আবার আবদার করল। ডিসেম্বর মাসে তারা নির্বাচন করতে চায় না। এজন্য আমাদের ধারণা ডিসেম্বর মাস এলে তারা ভয় পায়, সেটা হেরে যাওয়ার ভয়।’

নয়াপল্টনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের নিশ্চুপ থাকা অধঃপতন মন্তব্য করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন সাহেব অপশক্তির কাছে এত বেশি বিক্রি হয়ে গেলেন, বিস্মিত হলাম। নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা নিয়ে তিনি একটা কথাও বললেন না। এটা সত্যি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’  

নাসিম বলেন, ‘যারা এখনও ঠিক করতে পারেনি দলনেতা কে হবেন, তাদের কাছে জনগণ কী আশা করতে পারে? আমাদের যেমন সিদ্ধান্ত আছে, যখনই নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।’

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি ও মহাজোট নিয়ে শেখ হাসিনা যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবেন ১৪ দল তার পক্ষে থাকব। ১৪ দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। মুক্তিযুদ্ধের শক্তি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।  

নির্বাচনের প্রচারকাজে ১৪ দলের পক্ষ থেকে একটি টিম হবে উল্লেখ করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, এই টিম গ্রামগঞ্জে সভা সমাবেশ করবে। এই টিমে নেতৃত্ব দেব আমি নিজেই। বিজয় দিবস থেকে বিজয় মঞ্চ প্রতিটি জেলা উপজেলায় বিজয় মঞ্চ তৈরি করবে। এই মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিজয়ের ইতিহাসসহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হবে। আশা করি আমরা বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাবো।’

গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/টিএ/জেবি)